সামনে ও পাবলিক স্কয়ারে বিক্ষোভের আয়োজন হয়েছে। এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন ইউক্রেনের এক নারী।
টুইটার ও অন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় ওই নারীকে অনেকে নির্ভীক বলে প্রশংসা করছেন। এর কারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট হওয়া এক ভিডিও। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ভারী অস্ত্র নিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা রুশ সেনাদের কাছে ইউক্রেনের ওই নারী জানতে চাচ্ছেন, তাঁর দেশে কী করছেন তাঁরা।
ছোট ভিডিও ফুটেজে প্রথমে ওই নারী সেনাদের জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমরা কারা?’ সেনাদের উত্তর, ‘আমরা এখানে মহড়া করছি। দয়া করে এদিক (সড়কের এক দিক দেখিয়ে) দিয়ে যান।’ ইউক্রেনের বন্দর নগরী হেনিচেস্কের ওই নারী যখন জানতে পারেন, তাঁরা রাশিয়ার সেনা, তখন তিনি উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, ‘তো, তোমরা এখানে কী করছ?’
বড় বড় মেশিনগান ও বন্দুক হাতে রুশ সেনারা ওই নারীকে এই বলে শান্ত করার চেষ্টা করেন, ‘আমাদের এই আলোচনায় কোনো লাভ নেই।’ কিন্তু রুশ সেনাদের এমন কথা শুনে ওই নারী একটুও ভীত না হয়ে উল্টো সেনাদের বলেন, ‘তোমরা দখলদার, তোমরা স্বৈরাচার। বন্দুক হাতে তোমরা আমাদের দেশে কী করছ?’ ইউক্রেনের জাতীয় ফুল সূর্যমুখী বীজ হাতে তিনি রুশ সেনাদের বলেন, ‘এসব নিয়ে পকেটে রাখো। যখন তোমরা মারা পড়বে, তখন অন্তত সূর্যমুখীর গাছ হবে।’
পথচারীদের কেউ একজন রুশ সেনাদের সঙ্গে ওই ইউক্রেনীয় নারীর বাগ্বিতণ্ডার ভিডিও ধারণ করেন। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রশংসা কুড়ান ওই নারী।
টুইটারে এক ব্যবহারকারী বলেন, ‘এমন অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। কী সাহসী নারী তিনি!’ টুইটারে অপর এক ব্যবহারকারী ওই নারীর সাহসিকতার প্রশংসা করে লেখেন, ‘এই সাহসিকতা অসাধারণ। আপনাকে ধন্যবাদ। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’
ইউক্রেনীয় ওই নারী ক্রিমিয়া উপদ্বীপ থেকে ১৮ মাইল দূরে হেনিচেস্ক শহরের বাসিন্দা। ২০১৪ সালে রাশিয়া সামরিক অভিযান চালিয়ে ক্রিমিয়া দখলে নিয়েছিল।