সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, গত ২৭ মার্চ দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের উত্তর ওকালাপা ডিসট্রিক্টে সেনাবাহিনীর এক ক্যাপ্টেনের সহযোগীকে হত্যার দায়ে সামরিক আদালতে এই ১৯ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। দণ্ডিতদের মধ্যে ১৭ জন বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। সামরিক অভ্যুত্থানের পর বিক্ষোভ মোকাবেলায় মিয়ানমারে এটিই প্রথম মৃত্যুদণ্ডের আদেশ।
শুক্রবার রাত থেকে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় শহর বাগোতে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন অভিযানে অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা যায়। বাগোর বিভিন্ন সড়কে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের তৈরি ব্যারিকেড সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ভাঙতে এলে সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ ও সৈন্যরা বৃষ্টির মতো বাগোর সড়কে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সৈন্যরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এমনকি আমরা মর্টার শেলও পেয়েছি। নিহতদের লাশ তারা স্থানীয় প্যাগোডা ও স্কুল মাঠে জড়ো করে রাখে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অপরদিকে মিয়ানমারের অবস্থা পর্যবেক্ষণকারী থাইল্যান্ড-ভিত্তিক সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) তাদের শুক্রবারের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত সামরিক অভ্যুত্থান-বিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৬১৮ জন নিহত হয়েছেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে এক বছরের জন্য দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে। তখন থেকে প্রতিদিনই মিয়ানমারের গণতন্ত্র-কামী বিক্ষোভকারীরা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছেন।এসব বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত ৬১৮ জন নিহত হয়েছে। ভয়েজ অব আমেরিকা।