তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ
কলকাতার সল্টলেকের সিবিআই দপ্তরে ইন্টিমেশন জমা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আদালতের নির্দেশ, এলাকার বাইরে গেলে সিবিআইকে জানিয়ে যেতে হবে। দলীয় কাজে এলাকার বাইরে যাবার জন্য সিবিআইয়ের অনুমতি নিতে এসেছিলেন ক্ষমতাসীন তৃণমূলের এই নেতা।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির নবান্ন অভিযানে যাওয়া যেসব বিজেপি কর্মী গ্রেপ্তারের ভয়ে ও নিজেকে লুকাতে চুল দাড়ি কেটেছিল তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খবর নিউজ এইটিনের।
এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, নবান্ন অভিযানের দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে সন্ত্রাসে দেশে প্রথম হয়েছে ত্রিপুরা রাজ্য। এখানেও সেই কাজ করেছে তারা। লাঠি, রড, ইট, পাথর নিয়ে নিরস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তাদের খুন করতে এসেছিল বিজেপি কর্মীরা। ২৭ জন পুলিশ সদস্যকে মারধর করেছে তারা। সেই দোষীদের অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে। পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, আমার অনুরোধ সবাইকে চিনিয়ে দিন, স্থানীয় থানায় খবর দিন। খবর পেয়েছি এর মধ্যে মানুষ সহযোগিতা করছে সন্ত্রাসীদের ধরা হচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক প্রশ্ন করলে শুভেন্দু অধিকারী সেটা থেকে পালিয়ে যায়। উত্তর দিতে পারে না। তখন বলে আমি জেলে ছিলাম। আমার যুক্তি হচ্ছে আমি যে জেলে ছিলাম সবাই জানে। এই শুভেন্দু বাবু তোমরা সব সারদার টাকা নিয়েছ, আমার কাঁধে বন্দুক রেখেছ, আমি সেই আইনি লড়াই লড়ছি। আর তুমি সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা লোক। জেল এড়াতে তুমি বিজেপিতে গেছো। তুমি যদি বলো জেলে থাকার প্রশ্ন, তাহলে তুমি যে অমিত শাহের পা ছুঁয়ে বিজেপিতে গেলে, তিনি তো খুনের মামলায় জেলে ছিলেন, শুভেন্দু অমিত শাহের জেলটা কি জেল ছিল না, ওটা কি তাজমহল ছিল?
এনজে/ ডি- এইচএ