ফাইল ছবি
সিরিয়ার উপকূলে নৌকাডুবির শিকার হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭১ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশ লেবাননের পরিবহনমন্ত্রী আলি হামিয়ে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা মিনিয়েহ থেকে সিরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছিল নৌকাটি। অন্তত ১২০ থেকে ১৫০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন নৌকাটিতে। লেবানন থেকে সিরিয়া পৌঁছে সেখান থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল তাদের।
কিন্তু ঝড়ো আবহাওয়া ও তার প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় সিরিয়ার উপকূলে ভেড়ার আগেই ডুবে যায় সেই নৌকা। তাৎক্ষণিক উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই যাত্রীদের মধ্যে ২০ জনকে জীবিত অবস্থায় এবং ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার এই ২০ জন বর্তমানে সিরিয়ার একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
তারপর শুক্রবার দিনজুড়ে সিরিয়া ও লেবাননের কোস্টগার্ড বাহিনীর সদস্যরা আরও ৩৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছেন বলে লেবাননের সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
আলি হামিয়ে জানান, এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সবাই সিরীয় শরণার্থী। গত দশকে ইসলামিক স্টেটের উত্থান ও তার জেরে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ তীব্র হওয়ায় দেশ থেকে পালিয়ে লেবাননে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গৃহযুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হয়ে লেবাননের শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রায় ১০ লাখ সিরীয় শরণার্থী; কিন্তু করোনা মহামারি ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে চলতি বছর থেকে লেবাননে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট শুরু হওয়ার পর সিরীয় শরণার্থীদের মধ্যে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাত্রার প্রবণতা কয়েকগুণ বেড়েছে।
লিখিত বার্তায় লেবাননের পরিবহনমন্ত্রী আরও জানান, সিরিয়ার উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকাটি ছিল ‘খুবই ছোট’ একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকা। লেবানন ও সিরিয়ার উপকূলে নিয়মতই এমন নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এদিকে লেবাননের সামরিক বাহিনী শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার লেবানন থেকে সিরিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়া আর একটি নৌকা জব্দ করা হয়েছে; এবং সে নৌকাটি থেকে ৫৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে শরণার্থী শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এমকে