৫০০ আমেরিকানকে হত্যার একটি ‘চক্রান্ত’ ঠেকাতেই ইরানের অভিজাত কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোলাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্টমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
সৌদি আরবের গণমাধ্যম আল আরাবিয়ার সঙ্গে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন তিনি। এসময় যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য নীতিরও সমালোচনা করেন সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মাইক পম্পেও বলেন, ‘৫০০ আমেরিকানকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন সোলাইমানি। সেই ষড়যন্ত্র নস্যাতের সুযোগ যুক্তরাষ্ট্রের ছিল এবং আমরা সেটিই করেছি’।
সোলাইমানি হত্যার নেপথ্যের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে সরিয়ে নিতে চাইলে যুদ্ধ হবে! অনেকটা এ রকম সতর্কবার্তা ছিল। যুক্তরাষ্ট্র তার ইসরাইল দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করলেও যুদ্ধের সতর্কবার্তা ছিল। জেনারেল সোলাইমানির ওপর হামলা চালালেও যুদ্ধের সতর্কতা ছিল।
পম্পেও বলেন, ভালো কথা! এই সতর্কবার্তাগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র শুধু একটি বা দুটিই করেনি। আমরা এর তিনটি কাজই করেছি এবং কোনো যুদ্ধ হয়নি।
ইরানের শাসকদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত এ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি ইরানের শাসক কে। এগুলো হলো ‘শয়তান ধর্মশাসক’ যাদের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের ধ্বংস করা।
ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে হওয়া একটি পারমাণবিক চুক্তি নতুন করে করতে চাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। এই চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে সরে এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাইডেন কেন নতুন করে এ চুক্তিটি করতে চাচ্ছেন সেটির সমালোচনা করেছেন পম্পেও। তার দাবি এর মাধ্যমে ইরান ক্ষণস্থায়ী সময়ের জন্য তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের পরিধি বাড়ানো থেকে বিরত থাকবে।
তার দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র প্রোগ্রাম থেকে বিরত থাকার কথা দিলেও সেটি তারা মানেনি। ফলে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বাধ্য হয়ে চুক্তি থেকে সরে এসেছিল।
২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলাইমানি এবং ইরাকের হাশদ আশ-শাবির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদী আল-মুহান্দিসকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র।
হামলার পাঁচ দিন পর ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি আইন আল-আসাদে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করে ইরান।