ফাইল ছবি
ওপেকের সম্মেলনে জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের পরপরই সৌদি আরবের প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখায় যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য এর আগে থেকেই টানাপড়েন চলছিল। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতার কারণে সৌদি থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত তখন থেকেই সৌদি-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কও শীতলতার দিকে যেতে থাকে।
গত ৫ অক্টোবর সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন ওপেক প্লাসের সম্মেলনে জ্বালানি তেলের উৎপাদন দিনে দুই লাখ ব্যারেল কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এতে পশ্চিমা দুনিয়া বিশেষ করে আমেরিকায় উদ্বেগ এবং ক্ষোভ তৈরি হয়। নতুন করে সেই ক্ষোভ উগরে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, সৌদি আরবকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। সিএনএনকে দেয়া একটি বিরল সাক্ষাৎকারে জো বাইডেন বলেছেন, ‘আমি কি বিবেচনা করতে পারি আর কি ভাবছি, সেটা বলব না। কিন্তু এক্ষেত্রে (তেলের উৎপাদন কমানো) অবশ্যই পরিণতি ভোগ করতে হবে।’ তবে ঠিক কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে সেই সম্পর্কে কিছু বলেননি বাইডেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে পারেন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শাইখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান একটি সফরে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে পৌঁছেছেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরব আমিরাত অনুসরণ না করার সিদ্ধান্তে রাশিয়া সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। নভেম্বর থেকে প্রতিদিন দুই মিলিয়ন ব্যারেল তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেয় ওপেকভুক্ত ১৩টি দেশ ও তাদের সহযোগী অপর ১০ দেশ। এর ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতি আটকাতে পশ্চিমা দেশগুলো গত কয়েকমাস ধরেই প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।