একটা সময় ছিল, যখন সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোরই অনুমতি ছিল না। ২০১৮ সালে প্রথম দেশটিতে নারীরা গাড়ি চালানোর অনুমতি পান। সম্প্রতি দেশটিতে ৩০ জন নারী ট্রেনচালক নিয়োগের একটি চাকরির বিজ্ঞাপনে প্রায় ২৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এই এক ঘটনার চিত্রে রক্ষণশীল দেশটিতে নারীদের জন্য আরও সুযোগ তৈরির চাহিদার মাত্রা উঠে এসেছে।
স্প্যানিশ রেলওয়ে অপারেটর রেনফে গত বুধবার জানিয়েছে, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ইংরেজি ভাষার দক্ষতার একটি অনলাইন মূল্যায়নের মাধ্যমে আবেদনকারীদের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক কমানো গেছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে অন্যদের নিয়ে কাজ করা শেষ হবে।
নির্বাচিত ৩০ নারীকে এক বছর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরপর তাঁরা মক্কা ও মদিনা শহরের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালাবেন।
রেনফে বলেছে, তারা সৌদি আরবে নিজেদর ব্যবসায় নারীদের জন্য সুযোগ তৈরিতে আগ্রহী। বর্তমানে সৌদি আরবে ট্রেন চালানোর জন্য ৮০ জন পুরুষকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও ৫০ জনকে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। কিছুদিন আগেও সৌদি নারীদের কর্মক্ষেত্র শিক্ষক ও চিকিৎসাকর্মীর মতো কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
সৌদি আরবের বর্তমান যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) মোহাম্মদ বিন সালমান অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে গত পাঁচ বছরে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ প্রায় দ্বিগুণ করেছেন (৩৩ শতাংশ)। নারীরা এখন এমন সব চাকরি করছেন, যেগুলো একটা সময় শুধু পুরুষ ও অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
কিন্তু সৌদি আরবে কর্মরত নারীদের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় এখনো প্রায় অর্ধেক। গত বছরের মাঝামাঝি পুরুষ কর্মী ছিল ৩৪ দশমিক ১ শতাংশ এবং পুরুষের তুলনায় নারীদের বেকারত্বের হার ছিল তিন গুণ বেশি।