কথা কাটাকাটির জেরে স্পেনে নিজের মাকে হত্যা করেছে ২৮ বছরের যুবক আলবার্তো সানচেজ গোমেজ। এরপর মায়ের দেহকে টুকরো টুকরো করেছে করাত দিয়ে। কর্তিত মাংসের টুকরোগুলোকে বক্সে করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করেছে। বাকি অংশ প্লাটিকের ব্যাগে ভরে ফেলে দিয়েছে ময়লা রাখার বিন-এ। ফ্রিজে রাখা মায়ের দেহ পরের কমপক্ষে ১৫ দিন ভক্ষণ করেছে সে। এ অভিযোগে আলবার্তোকে ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার মাদ্রিদ প্রাদেশিক আদালতে এই হত্যাকাণ্ডের মামলার রায় দেয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের জন্য ৫ বছরের জেল দেয়া হয়েছে তাকে।
মৃতদেহকে টুকরো টুকরো করার জন্য ৫ মাসের জেল দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিপূরণ হিসেবে তার ভাইকে ৭৩ হাজার ডলার দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। এতে আরো বলা হয়েছে, নিজের মা মারিয়া সোলেদাদ গোমেজের (আদালতের ডকুমেন্টে তার নাম উল্লেখ করা হয়নি) সঙ্গে ওই এপার্টমেন্টে থাকতো আলবার্তো।
সেখানেই ২০১৯ সালে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার। মাদ্রিদ প্রসিকিউটর অফিস থেকে বলা হয়েছে, এ কারণেই নিজের মাকে হত্যা করে আলবার্তো। এরপর কাঠমিস্ত্রির করাত ও রান্নাঘরের দুটি চাকু দিয়ে মায়ের মৃতদেহকে টুকরো টুকরো করে। এসব অংশ ঘরের ফ্রিজারে রেখে দেয়। বাকি অংশ প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় তাকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তাকে ‘ক্যানিবাল অব লাস ভেন্টাস’ বা লাস ভেন্টাসের নরখাদক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে স্থানীয় মিডিয়া। এর আগে ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় দু’ব্যক্তিকে একই রকম হত্যাকাণ্ডের জন্য যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা তাদের বিরুদ্ধে নরখাদকের অভিযোগ এনেছেন। এর আগের বছরে দক্ষিণ আফ্রিকার নিনো মবাথা নামের এক ব্যক্তি মানুষের একটি পা ও একটি হাত নিয়ে হাজির হয় পুলিশ স্টেশনে। পুলিশের কাছে জানায় যে, সে মানুষের মাংস খেতে খেতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। মবাথা একটি বাড়িতে নিয়ে যায় পুলিশকে। সেখানে একটি ঘরের ভিতর মানুষের শরীরের অন্যান্য অঙ্গ খুঁজে পায় পুলিশ। কিন্তু পরক্ষণেই সে মানুষের মাংস খাওয়ার কথা অস্বীকার করে। এ ঘটনায় আরেক ব্যক্তি লুঙ্গিসানি মাগুবানে সহ তাকে হত্যাকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত করা হয়।