ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার (২৪ আগস্ট) হঠাৎ করে কিয়েভ সফরে গেছেন। এদিন নিজেদের ৩১তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছে ইউক্রেন। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো কিয়েভে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেছেন বরিস। খবর সিএনএনের।
কিয়েভে গিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনকে আরও ৬৬ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন জয় পাবে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের বর্তমান সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তার নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন বরিস। যুক্তরাজ্যের নতুন সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন দূরপাল্লার নজরদারি এবং রক্ষণাত্বকমূলক লক্ষ্য বৃদ্ধি করতে পারবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের ঘোষিত নতুন প্যাকেজে রয়েছে, ২০০টি ড্রোন এবং নজরদারিমূলক অস্ত্র। যেগুলো দিয়ে ইউক্রেন আক্রমণকারী রুশ সেনাদের অবস্থান খুঁজে বের করতে পারবে। তাছাড়া এই সহায়তায় ৮৫০টি হাতে ছোঁড়ার ক্ষুদ্রাকৃতির ড্রোন রয়েছে। যেগুলো শহর ও গ্রামে ব্যবহার করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া অগ্রসরমান শত্রুদের অবস্থানও জানাতে পারবে এ ড্রোনগুলো।
কিয়েভে যাওয়ার ব্যাপারে বরিস জনসন বলেছেন, আমি এসেছি ইউক্রেনকে বার্তা দিতে যুক্তরাজ্য আপনাদের পাশে আছে এবং আগামী সময় ও মাসেও পাশে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন শীতের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে কথা বলেছেন জেলেনস্কি ও বরিস জনসন। তাছাড়া ইউক্রেনকে মানবিকসহ সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন জনসন।
এনজে