ছবি: সংগৃহীত
চীনের হুমকির প্রেক্ষিতে বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবার মেয়াদ চার মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করল তাইওয়ান। অর্থাৎ, তাইওয়ানিজ সকল প্রাপ্ত বয়স্ক যুবদের অন্তত এক বছরের জন্য সামরিক বাহিনীতে কাজ করতে হবে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) তাইওয়ানের দিকে ৭১টি যুদ্ধবিমান এবং ৭টি রণতরী পাঠিয়েছে চীন। এর একদিন পরই মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাইওয়ান সরকার। খবর এএফপ ও রয়টার্সের।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন জানিয়েছেন, ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্মানো সকল তাইওয়াননিজ যুবকেই সামরিক পরিষেবা দিতে হবে।
সাই ইং-ওয়েনের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষাবাহিনীকে পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করতে সোমবার সরকারের উচ্চপর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে তাইওয়ানের প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের এক বছর বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রস্তাব উঠলে প্রেসিডেন্ট ও উপস্থিত অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা তাতে সম্মতি দেন।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকেই এ কর্মসূচি শুরু হবে এবং আশা করা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তার ফল পাওয়া শুরু করব আমার। কারণ, ততদিনে একটি ব্যাচের সামরিক প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে যাবে।’
১৯৪৯ সালে মাও সে তুংয়ের নেতৃত্বে সংঘটিত এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে চীনের তৎকালীন রাজধানী পিকিং দখল করে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি। চীনের ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী তখন পিকিং থেকে পালিয়ে তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রম করে তাইওয়ানে আশ্রয় নেন এবং এ দ্বীপ ভূখণ্ডকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন।
৩৬ হাজার ১৯৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপ ভূখণ্ডের রয়েছে নিজস্ব সংবিধান, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্ব এবং প্রায় ৩ লাখ সক্রিয় সেনা সদস্যের একটি সেনাবাহিনী। নতুন এই কর্মসূচী শুরু হলে দেশটিতে নিয়মিত সেনাবাহিনীর পাশাপাশি একটি বিশালসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীও গঠিত হবে।
এসএম