প্রতীকী ছবি
৫০৫ দিন করোনায় ভুগে শেষ পর্যন্ত মারা গেছেন ইংল্যান্ডের প্রবীণ ব্যক্তি। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এত দীর্ঘ সময় ধরে সংক্রমিত থাকার নজির আর কোনো রোগীর নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইংল্যান্ডের ওই প্রবীণ ব্যক্তি সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। তার বয়স এবং টিকার ডোজ নেয়ার ইতিহাস নিয়েও কিছু জানানো হয়নি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসের আলফা, গামা, ওমিক্রনসহ ১০টি মিউটেশনের শিকার হয়েছিলেন। তার করোনা সংক্রমণের ইতিহাস এখন গবেষণার দাবি রাখে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও আনন্দবাজার পত্রিকার।
ইংল্যান্ডের চিকিৎসকরা জানান, ওই ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই কম ছিল। তাই তার দেহে করোনার জীবাণু বাসা বেঁধেছে। সেই জীবাণুর সঙ্গে লড়াইয়ের মতো প্রতিরোধ শক্তি তিনি তৈরিই করতে পারেননি। ফলে ৫০৫ দিন ধরে করোনায় আক্রান্ত তিনি।
এখনও পর্যন্ত যতজনকে পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে ইংল্যান্ডের ওই ব্যক্তির দেহে বেশি দিন ধরে সংক্রমণ চলেছে। এর আগে এমন দীর্ঘ সংক্রমণ যাদের পাওয়া গেছিল, তাদের মধ্যে একজনের দেহে ৩৩৫ দিন ধরে করোনা বিদ্যমান ছিল। এর আগে তিনেই ছিলেন দীর্ঘতম পর্যায়ে সংক্রমিত ব্যক্তি। কিন্তু ইংল্যান্ডের ওই ব্যক্তি সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন। এখন তিনি উঠে এসেছেন এক নম্বরে।
দীর্ঘ সংক্রমণ এবং লং কোভিড কি একই
দীর্ঘ সংক্রমণ এবং লং কোভিড মোটেই এক নয়। যাদের দেহে লং কোভিডের উপসর্গ দেখা গেছে, তাদের দেহে করোনা সংক্রমণ আর থাকে না। আগে থেকেই করোনা সংক্রমণের প্রভাব নানাভাবে জানান দিতে থাকে দেহ। কিন্তু তাদের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করিয়ে রাখলে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে না। কিন্তু ইংল্যান্ডের ওই ব্যক্তির ক্ষেত্রে তেমনটি হয়নি। ৫০৫ দিন পরেও পরীক্ষা করে তার দেহে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
ডি- এইচএ