প্রতীকী ছবি
৫০৫ দিন ধরে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি এখনও সুস্থ হননি। সম্প্রতি ইংল্যান্ডে এমন এক ব্যক্তিকে পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সেখানকার চিকিৎসকরা বেশ উদ্বিগ্ন।
চিকিৎসকরা বলছেন, সাধারণত ২০ দিন, এক মাস অথবা খুব বেশি হলে দুই মাসের মধ্যেই করোনা সেরে যায়। তারপর লং কোভিডজনিত সমস্যা হতেও পারে। কিন্তু এর বেশি দিন ধরে সংক্রমণ চলার কথা না। অনেকের ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়ার বেশ কয়েক মাস করোনার জীবাণু থেকে যেতে পারে। কিন্তু সেটি খুবই বিরল। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
কিন্তু তাই বলে ৫০৫ দিন! হ্যাঁ, দেড় বছরেও এক ব্যক্তি আরোগ্য লাভ করেননি।
ইংল্যান্ডের চিকিৎসকরা জানান, ওই ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই কম। সেই কারণেই তার দেহে করোনার জীবাণু বাসা বেঁধেছে। সেই জীবাণুর সঙ্গে লড়াইয়ের মতো প্রতিরোধ শক্তি তিনি তৈরিই করতে পারেননি। ফলে ৫০৫ দিন ধরে করোনায় আক্রান্ত তিনি।
এখনও পর্যন্ত যত জনকে পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে ইংল্যান্ডের ওই ব্যক্তির দেহে বেশি দিন ধরে সংক্রমণ চলছে। এর আগে এমন দীর্ঘ সংক্রমণ যাদের পাওয়া গেছিল, তাদের মধ্যে একজনের দেহে ৩৩৫ দিন ধরে করোনা ছিল। এ পর্যন্ত তিনি ছিলেন দীর্ঘতম পর্যায়ে সংক্রমিত ব্যক্তি। কিন্তু ইংল্যান্ডের ওই ব্যক্তি সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন। এখন তিনি এক নম্বরে উঠে এলেন।
দীর্ঘ সংক্রমণ এবং লং কোভিড কি একই
দীর্ঘ সংক্রমণ এবং লং কোভিড মোটেই এক নয়। যাদের দেহে লং কোভিডের উপসর্গ দেখা গেছে, তাদের দেহে করোনা সংক্রমণ আর থাকে না। আগে থেকেই করোনা সংক্রমণের প্রভাব নানাভাবে জানান দিতে থাকে দেহ। কিন্তু তাদের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করিয়ে রাখলে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে না। কিন্তু ইংল্যান্ডের ওই ব্যক্তির ক্ষেত্রে তেমনটি হয়নি। ৫০৫ দিন পরেও পরীক্ষা করে তার দেহে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
ডি- এইচএ