মঙ্গলবার ইরানের প্রেস টিভিকে তিনি জানান, ৬০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের পরিকল্পনার বিষয়টি তার দেশ আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’কে জানিয়েছে।
আব্বাস আরাকচি বলেন, নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সেন্ট্রিফিউজগুলো পরিবর্তন করার পাশাপাশি ইরান বাড়তি আরও এক হাজার সেন্ট্রিফিউজ বসাবে। সেগুলো শতকরা ৫০ ভাগ বেশি মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সক্ষম।
আব্বাস আরাকচি বর্তমানে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থান করছেন। সেখানে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনতে আরেক দফা আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ইরান মনে করে, তেহরানের ওপর থেকে সকল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেই যুক্তরাষ্ট্র কেবল পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসতে পারে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী হোসেইনি খামেনি বলেন, দেশের প্রয়োজনে পরমাণু সক্ষমতা অর্জনের বিষয়ে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ কারণে আমাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ২০ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং যত মাত্রা প্রয়োজন হবে তত মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা হবে। উদাহরণস্বরূপ পামাণবিক প্রযুক্তি বা অন্য কোনো কাজে আমাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা শতকরা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত হতে পারে।
খামেনি সেসময় দাবি করেন, এর অর্থ এই নয় যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায়। ইসরায়েল এবং পশ্চিমা দেশগুলোও এটা জানে। কিন্তু ইরানের ওপর বলপ্রয়োগ করতে এটাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে চায় তারা।