মাত্র নয় সেকেন্ডের মধ্যেই গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের নয়ডা শহরে বিধিবহির্ভূতভাবে নির্মিত সুপারটেক টুইন টাওয়ার। রবিবার (২৮ আগস্ট) ব্যাপক বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে ভবনটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। নয় বছরের আইনি লড়াইয়ের পর সুপ্রিম কোর্টের দেয়া আদেশের ভিত্তিতে টাওয়ার দুটি গুঁড়িয়ে দেয়া হলো। খবর এনডিটিভির।
টুইন টাওয়ার ধ্বংসের জন্য তিন হাজার ৭০০ কেজির বেশি ওজনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। দুটি ভবনে প্রায় সাত হাজার ছিদ্রের ভেতর বিস্ফোরক ঢোকানো হয়েছিল। ২০ হাজার সার্কিট স্থাপন করা হয় সেখানে। ওয়াটারফল টেকনিক ব্যবহার করে বিস্ফোরণ করার কারণে টাওয়ার দুটি সোজাসুজি নিচের দিকে ভেঙে পড়েছে।
ভবন গুঁড়িয়ে দেয়ার কাজ শেষ হওয়ার পর এখন নয়ডা কর্তৃপক্ষের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হলো ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করা। ভবন গুঁড়িয়ে দেয়ার আগেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলে দিয়েছেন প্রায় ৫৫ হাজার টন ওজনের ধ্বংসাবশেষ জমা হতে পারে। আর তা পরিষ্কারের জন্য তিন মাস সময় লাগতে পারে। নির্ধারিত এলাকায় এসব আবর্জনা ফেলা হবে।
ভবনটি গুঁড়িয়ে দেয়ার আগে ওই এলাকার প্রায় সাত হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়। আশপাশের ভবনগুলো যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। ওই পথে চলাচলকারী গাড়িগুলোকে বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেয়া হয়।
সুপারটেক এমার্যাল্ড কোর্ট সোসাইটি প্রাঙ্গণে বিধি লঙ্ঘন করে টাওয়ার দুটি নির্মিত হয়েছে অভিযোগ করে ২০১২ সালে আদালতের দ্বারস্থ হন স্থানীয় লোকজন। তাদের অভিযোগ, টাওয়ারগুলো যেখানে তৈরি করা হয়েছে, সেখানে বাগান করার পরিকল্পনা ছিল। ২০১৪ সালে টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেয়ার আদেশ দেন এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এরপর মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে যায়। গত বছরের আগস্টে ভবনটি গুঁড়িয়ে দিতে তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন সুপ্রিম কোর্ট। মুম্বাইভিত্তিক কোম্পানি এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিংকে দুটি টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে কারিগরি জটিলতার কারণে এ প্রক্রিয়া শুরু করতে এক বছর লেগেছে।
এনজে