আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদার শীর্ষনেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি এখনো বেঁচে আছেন বলে ধারণা করছে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দল। সংস্থাটির অ্যানালিটিক্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাংশনস মনিটরিং টিম তাদের দ্বাদশ রিপোর্টে জানিয়েছে, আল কায়েদা শীর্ষ নেতাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান সীমান্তে লুকিয়ে আছে।
শুক্রবার ইস্যু করা ওই রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে শনিবার হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আল-কায়েদা যোদ্ধা এবং বিদেশি জঙ্গিদের সমন্বয়ে বড় একটি অংশ তালেবানদের সঙ্গে মিলে আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করছে।
মিসরীয় নাগরিক চোখের শল্যচিকিৎসক জাওয়াহিরি দেশটির জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের প্রতিষ্ঠাতা। ২০১১ সালের ১৬ জুন আল-কায়েদার নতুন নেতা হিসেবে তার নাম ঘোষিত হয়। এর কয়েক সপ্তাহ আগেই বিন লাদেন মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ভয়াবহ হামলার ‘সক্রিয় মস্তিষ্ক’ ভাবা হয় জাওয়াহিরিকে। ওই বছর যুক্তরাষ্ট্র যে ২২ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা প্রকাশ করে তাতে ২ নম্বরে ছিল জাওয়াহিরির নাম। তাকে সর্বশেষ ২০০১ সালে আফগানিস্তানের খোস্ত শহরে দেখা গেছে। গত বছর নভেম্বরে খবর চাউর হয়, তিনি অসুস্থ অবস্থায় মারা গেছেন।
কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, তার মৃত্যুর খবর সম্পর্কে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। খুব অসুস্থ অবস্থায় বেঁচে আছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আল-কায়েদা নেতাদের যোগাযোগ আছে। তালেবান অবশ্য এই খবর অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে এই গ্রুপের ভেতর বাংলাদেশি নাগরিকও আছে, ‘দলটি আফগান এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের নিয়ে গঠিত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। কিন্তু এদের সঙ্গে বাংলাদেশ, ভারত এবং মিয়ানমারের নাগরিকও আছে।’
প্রতিবেদনে ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য নতুন এক নেতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে: ওসামা মাহমুদ। তিনি আগে তালিকাভুক্ত ছিলেন না। প্রয়াত অসীম উমরের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি।