Image default
আন্তর্জাতিক

আয়রন ডোম মেরামতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১ বিলিয়ন ডলার চায় ইসরায়েল

ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ মেরামতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১০০ কোটি ডলার চায় ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন, সেই সফরেই তিনি এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ একাধিক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার জেরুজালেমে ইসরায়েলের সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন দেশটিতে সফরে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম।

মঙ্গলবার লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, ‘আয়রন ডোম মেরামত ও একে আরো উন্নততর করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে ১ বিলিয়ন ডলার সহযোগিতা চাইবেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ক একটি চিঠি পেন্টাগনে যাচ্ছে।’

এমন এক সময়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই সহযোগিতা চাইতে যাচ্ছেন, যখন গাজা ভূখণ্ডে ১১ দিনের যুদ্ধের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসে ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রির তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। চলতি বছর ইসরায়েলের কাছে ৩০০ কোটি ৮০ লাখ ডলারের অস্ত্র বিক্রির কথা রয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট সদস্যদের একাংশের আপত্তির কারণে কিছুটা ঝুলন্ত অবস্থায় আছে অস্ত্র বিক্রির এই চুক্তি।

গাজা ভূখণ্ড থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ এবং ইসরায়েলের বসতকারদের অবৈধ দখলদারিত্বের প্রতিবাদে গত ১০ জুলাই থেকে ওই ভূখণ্ডের প্রধান রাজনৈতিক দল হামাস ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে শুরু হয় যুদ্ধ। ১১ দিন পর্যন্ত স্থায়ী এই যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিমান হামলা ও মর্টার গোলার আঘাতে নিহত হন প্রায় আড়াইশ ফিলিস্তিনি, আহত হন আরও আঠারশোর বেশি।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ১১ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর ও স্থাপনা লক্ষ্য করে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি রকেট ছুড়েছে হামাস। হামাসের ছোড়া রকেটে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১২ জন।

তবে নিহতের এই সংখ্যা আরও বহুগুন বাড়ত যদি না ইসরায়েল তাদের মিসাল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম কার্যকর না করত। ২০১১ সাল থেকে চালু হওয়া এই মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি তৈরি করেছে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস ও ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ। যুক্তরাষ্ট্রও অবশ্য এ প্রযুক্তির উদ্ভাবনে সহায়তা করেছে।

মঙ্গলবার জেরুজালেমে লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, ‘হামাস ও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সাম্প্রতিক যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ইতোমধ্যে অনেক পক্ষ-বিপক্ষ তৈরী হয়েছে, তবে আমি আপনাদের এ বিষয়ে নিশ্চিত করতে চাই যে, ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই গভীর সহানুভূতি পোষণ করে।

Related posts

যুক্তরাষ্ট্রের গোপনীয় তথ্য বিক্রির চেষ্টায় ফেঁসে গেলেন প্রকৌশলী দম্পতি

News Desk

শ্রীলঙ্কার বিপদে পাশে থাকায় মোদিকে ধন্যবাদ বিক্রমসিঙ্ঘের

News Desk

রিজার্ভ সৈন্য তলব, বিক্ষোভে উত্তাল রাশিয়া

News Desk

Leave a Comment