ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্গে তার সীমান্তে আকাশসীমা বা এয়ারস্পেসকে শূন্য দেখাচ্ছে। বিমান চলাচল বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলোতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। বিপুল পরিমাণ বিমান বৃহস্পতিবার ওই অঞ্চল এড়িয়ে চলছিল। এডিএস-বি এক্সচেঞ্জের ধারণকৃত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেনের আকাশসীমায় কোনো বিমান নেই। তবে তারা ওই অঞ্চলে বিামন চলাচল বিষয়ক ডাটা ট্রাকিং করতে পারেনি। কারণ, ওই এলাকার ব্রডকাস্টিং ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। ইউক্রেনের ওপর দিয়ে, দক্ষিণে মলদোভা এবং রাশিয়ার অংশবিশেষে বর্তমানে বেসামরিক বিমান চলাচল বিধিনিষেধ আছে। পাইলটদের জন্য একটি নোটিশে বলা হয়েছে- রাশিয়ান ফেডারেশনের সামরিক আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেনের আকাশসীমায় বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এভিয়েশন সেফটি এজেন্সি বা এশা সতর্ক করেছে।তারা বলেছে, স্থলভাগে এবং আকাশথে উপস্থিতি বা সম্ভাব্য ব্যবহারের ফলে যেকোনো উচ্চতায় বেসামরিক বিমান চলাচল ঝুঁকিতে পড়ার বড় হুমকি আছে। বৃহস্পতিবার ইউএস ফেডারেল এভিয়েশন এডমিনিস্ট্রেশন বলেছে, তারা পাইলটদের জন্য একটি অগ্রবর্তী নোটিশ দিচ্ছে। আর আওতায় থাকবে পুরো ইউক্রেন, পুরো বেলারুশ এবং রাশিয়ার পশ্চিমাংশ। সংঘাত কবলিত এলাকাগুলোতে বিমান চলাচল ঝুুঁকিপূর্ণ। এর আগে ২০১৪ সালে পূর্ব ইউক্রেনের ওপরে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করে ভূপাতিত করা হয় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ১৭। এতে নিহত হন ২৯৮ জন। এর জন্য পশ্চিমা কর্মকর্তারা এবং ডাচ নেতৃত্বাধীন তদন্তকারীরা দায়ী করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে। কিন্তু পুতিন এ দায় অস্বীকার করেছেন।