রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, কিয়েভকে সমর্থন ও সহযোগিতা করার কারণে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো। টেলিভিশনে প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ওয়াশিংটন ও ন্যাটো যুদ্ধে জড়িত কারণ তারা ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করছে এবং নিজেদের ভূখণ্ডে তারা ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইউক্রেনে সংঘাত এড়ানোর একটি প্রকৃত সুযোগ ছিল পশ্চিমাদের। কিন্তু তারা ন্যাটোর সম্প্রসারণ বন্ধ ও কিয়েভকে নিয়ে নির্দিষ্ট নিরাপত্তা অবস্থান বিষয়ে রাশিয়ার প্রস্তাব মানতে অস্বীকৃতির পথ বেছে নিয়েছে।
অবশ্য পশ্চিমারা রাশিয়ার প্রস্তাবকে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য অজুহাত, অবাস্তব এবং কপট বলে উল্লেখ করেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ৯ মাস চলছে, কিন্তু অর্জনের খাতা অনেকটাই শূন্য মস্কোর। কিছু জায়গায় দখলে নিলেও এখন হাতছাড়া হচ্ছে। ফলে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে চলমান অভিযানে মনোবল ভেঙে পড়েছে রুশ বাহিনীর।
শীত জেঁকে বসতেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে লড়াই আরও তীব্র হয়েছে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর। দক্ষিণের খেরসনসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পূর্ব দিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। কিয়েভসহ একাধিক শহরের জ্বালানি সেক্টরকে লক্ষ্যবস্তু করায় ইউক্রেনের অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা বুধবার (৩০ নভেম্বর) বলেছেন, বেসামরিক অবকাঠামো রক্ষার্থে শিগগির যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন।