রাশিয়ার বিমান থেকে ফেলা বোমার আঘাতে ইউক্রেনের স্কুল ভেঙে পড়ে ও আগুন লেগে যায়
ইউক্রেনের লুহানস্কের একটি স্কুলে এবার বিমান হামলা চালালো রাশিয়া। রবিবার (৮ মে) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আক্রমণের ভয়ে বহু মানুষ ওই স্কুলটিতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু রাশিয়া স্কুল ভবনেও আক্রমণ চালিয়েছে। অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে ওই ঘটনায়।
লুহানস্কের গভর্নর জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিমান থেকে বোমা ফেলার পর স্কুলের বাড়ি ভেঙে পড়ে। সেখানে আগুন ধরে যায়। স্কুলের বেসমেন্টে প্রচুর মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। দমকল কর্মীরা তিন ঘণ্টা ধরে চেষ্টার পর আগুন নেভায়। খবর ডয়েচে ভেলের।
জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি জানান, রাশিয়ার গোলার হাত থেকে বাঁচার জন্য গ্রামের মানুষ স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। রাশিয়া সেই স্কুল আক্রমণ করেছে।
রাশিয়ার এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রাশিয়ার এই আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না। স্কুল ভবনে হামলা ক্ষমাহীন অপরাধ। এদিন ফের যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি বৈঠকে বসার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তবে স্কুল ভবনে বোমা ফেলা নিয়ে রাশিয়া এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনার গত মাসে জানিয়েছিল, ইউক্রেনে দুই হাজার ৩৪৫ জন বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন এবং দুই হাজার ৯১৯ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া এক কোটি ২০ লাখ মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এর মধ্যে ৫৭ লাখ প্রতিবেশী দেশগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। বাকি ৬৫ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়ে দেশেই বিভিন্ন জায়গায় আছেন।
জাপান জানিয়েছে, ক্রমান্বয়ে তারা রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেলের আমদানি বন্ধ করবে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী জি ৭ বৈঠকে বলেছেন, জাপান সম্পূর্ণভাবে বিদেশি তেলের উপর নির্ভরশীল। রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করা হয়। নীতিগতভাবে তারা ওই তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছি। তবে একবারে সম্পূর্ণ আমদানি বন্ধ করা যাবে না।
জাপান জানিয়েছে, বিকল্প শক্তির উপর তারা জোর দিচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব রাশিয়ার তেল নেওয়া পুরোপুরি বন্ধ করা হবে।
ডি-ইভূ