কংগ্রেস নেতা রাহুলকে ১০ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদ, ফের তলব
আন্তর্জাতিক

কংগ্রেস নেতা রাহুলকে ১০ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদ, ফের তলব

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ফাইল ছবি

ন্যাশনাল হেরাল্ড অর্থ আত্মসাতের মামলায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীকে সোমবার দুই দফায় প্রায় ৯ ঘণ্টাব্যাপী জেরা করার পর আজ মঙ্গলবার (১৪ জুন) সমন জারি করার মাধ্যমে তাকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরিয়েটের (ইডি) গোয়েন্দারা। সমন পেয়ে ইডি দপ্তরে গেছেন রাহুল গান্ধী।

ধারণা করা হচ্ছে, ন্যাশনাল হেরাল্ড কংগ্রেস ফান্ডের অপব্যবহার নিয়ে রাহুল গান্ধীকে প্রশ্নের সম্মুখীন করা হতে পারে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

ইয়ং ইন্ডিয়ান্স প্রাইভেট লিমিটেড নামক সংস্থার মাধ্যমে অ্যাসোসিয়েট জার্নাল কিনে নেন গান্ধী পরিবার। সেই সংস্থার অধীনে প্রচুর স্থাবর সম্পত্তি ছিল, যেগুলো এই চুক্তিতেই গান্ধীদের হয়ে যায়। পুরো লেনদেনেই গোয়েন্দা বিভাগীয় তদন্ত কর্মকর্তারা অনিয়মের গন্ধ পাচ্ছেন। তাই আজ মঙ্গলবার রাহুলকে তলব করে পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা। সোনিয়া গান্ধীকেও এই একই মামলায় তলব করা হয়েছে।

এর আগেও ন্যাশনাল হেরাল্ড দুর্নীতি মামলায় রাহুল গান্ধীকে তলব করা হয়েছিল। তবে সেই সময় তিনি বিদেশে থাকায় হাজিরা দিতে পারেননি। পরে নতুন সমন জারি করে ১৩ জুন ইডি দপ্তরে তাকে হাজিরা দিতে বলা হয়।

গত ১ জুন ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল ও সোনিয়াকে তলব করেছিল ইডি। ৮ জুন ইডি দপ্তরে হাজিরা দেয়ার কথাও ছিল সোনিয়ার। তবে তিনি কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় সেদিন হাজিরা দিতে অপারগ ছিলেন। পরে সোনিয়াকেও নতুন করে সমন জারি করা হয়। সেই সমন জারির একদিন পরই হাসপাতালে ভর্তি হন সোনিয়া।

১৯৩৮ সালে জওহরলাল নেহরুর হাত ধরে পথ চলা শুরু ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের। স্বাধীনতার পর এই পত্রিকা মূলত কংগ্রেসের মুখপত্রে রূপান্তরিত হয়। এর প্রকাশনার দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের ওপর। এর মালিকানা ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড। ২০০৮ সালে আর্থিক ক্ষতির কারণে ন্যাশনাল হেরাল্ডের প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সোনিয়া গান্ধি। এরপর ২০১১ সালে ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামক কোম্পানি গঠন করেন তিনি। যার ৭৬ শতাংশ অংশীদারি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং তার ছেলে রাহুল গান্ধীর। এর সূত্র ধরেই ২০১৩ সালে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণিয়াম স্বামী। পরে ২০১৫ সালে ইয়ং ইন্ডিয়া একটি অলাভজনক কোম্পানি হওয়ায় এর বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করে দেয় ইডি। বর্তমানে এই মামলায় আগাম জামিন নিয়ে মুক্ত আছেন রাহুল ও সোনিয়া।

ডি- এইচএ

Source link

Related posts

বিক্ষোভকারীদের দমনে কলম্বোয় কারফিউ জারি

News Desk

ক্ষেপণাস্ত্র এস-৩০০ হস্তান্তরে রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক আরও বিস্তৃত: ইরান

News Desk

মিয়ানমারের ওপর জো বাইডেন প্রশাসন চাপ অব্যাহত : জন কেরি

News Desk

Leave a Comment