Image default
আন্তর্জাতিক

কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ কাদের হাতে, জানতে আরও অপেক্ষা

যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট নাকি রিপাবলিকানরা কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ পাচ্ছেন, তা জানতে আরও অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোট গণনা এখনো কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে শেষ হয়নি। ফলে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট ও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের চূড়ান্ত ফল আসতে আরও কয়েক দিন লেগে যেতে পারে।

সিনেটে দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। রিপাবলিকানদের হাতে এসেছে ৪৯টি আসন। ডেমোক্র্যাটদের ৪৮টি। ১০০ আসনের সিনেটের নিয়ন্ত্রণ পেতে কোনো দলের ৫১ আসন লাগবে। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভোট ডেমোক্র্যাটরা পাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে এখনো ফলাফল চূড়ান্ত না হওয়া তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতে জয় পেলেই ক্ষমতাসীনেরা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারবেন। সেখানে রিপাবলিকানদের সিনেটের নিয়ন্ত্রণ পেতে দুটিতে জয় নিশ্চিত করতে হবে। এই তিন আসন হলো অ্যারিজোনা, নেভাদা ও জর্জিয়া।

এর মধ্যে জর্জিয়ায় কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় সেখানে ৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফা ভোট হবে। অপর দিকে, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত অ্যারিজোনা ও নেভাদা অঙ্গরাজ্যে কয়েক লাখ ভোট গণনা বাকি ছিল।

কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকানরা। প্রতিনিধি পরিষদে মোট আসন ৪৩৫টি। গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে ২১১টি আসন। ডেমোক্র্যাটদের ১৯৭টি। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ২১৮টি আসন। প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পেলে রিপাবলিকানরা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনকে কংগ্রেসে বিভিন্ন আইন পাসে বাধা দিতে পারবেন।

প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান পার্টির নেতা কেভিন ম্যাকার্থি এরই মধ্যে জোরেশোরে ঘোষণা দিয়েছেন, প্রতিনিধি পরিষদে জয় পেলে তিনি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রার্থী হবেন। তবে প্রতিনিধি পরিষদে জয়ের আশা এখনো ছাড়ছেন না বাইডেন। গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এমন কথাই বলেছেন তিনি।

এ কথা সত্যি যে নির্বাচনে রিপাবলিকানদের বিপুল জয় বা ‘লাল ঢেউ’ থামিয়ে দিতে পেরেছেন বাইডেনের ডেমোক্র্যাটরা। ২০২১ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মূল্যস্ফীতি ও অপরাধের হার বাড়ার কারণে রিপাবলিকানদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল বাইডেনকে। অপর দিকে, বাইডেন এই নির্বাচনকে বর্ণনা করেছেন গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই হিসেবে। গর্ভপাত আইনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি রিপাবলিকানদের ‘কট্টরপন্থী’ আখ্যা দিয়েছেন।

যেসব ভোট গণনা বাকি
অ্যারিজোনা ও নেভাদার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ভোট গণনা শেষ হতে কয়েক দিন লেগে যেতে পারে। কারণ, ডাকযোগে দেওয়া ভোট এখনো আসছে। গত বৃহস্পতিবার অ্যারিজোনার মারিকোপা কাউন্টি বোর্ড অব সুপারভাইজারের চেয়ারম্যান বিল গেটস বলেন, এখনো ৪ লাখের বেশি ভোট গণনা বাকি রয়েছে। তাঁরা শনি ও রোববারও ভোট গণনা চালিয়ে যাবেন। প্রতিদিন তাঁদের ১৪ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে।

এ ছাড়া মারিকোপায় নির্বাচনের দিন ভোট গণনাযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ফলে ১৭ হাজার ভোট আলাদাভাবে গুনতে হচ্ছে। আর নেভাদায় আইন অনুযায়ী স্থানীয় সময় শনিবার পর্যন্ত ডাকযোগে দেওয়া ভোট আসবে। ফলে সে সময় পর্যন্ত ভোট গণনা চলবে।

Related posts

রানির শেষকৃত্যানুষ্ঠানের সমাপ্তি

News Desk

যে শর্তে মালয়েশিয়ায় কোয়ারেন্টিন ছাড়াই প্রবেশ করা যাবে

News Desk

তানজানিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত ১৯ আরোহী

News Desk

Leave a Comment