ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর রাশিয়ার কাছ থেকে শহরটি পুনরুদ্ধার করে ইউক্রেন। তবে পিছু হটলেও নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে শহরটিতে গোলাবর্ষণ শুরু করে রুশ বাহিনী। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ইউক্রেনীয় পুলিশের বরাত দিয়ে রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে ইউক্রেনের পুলিশ প্রধান ইহোর ক্লাইমেনকো বলেছেন, রুশ বাহিনীর অব্যাহত গোলার্ষণ এই শহরকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা শান্তিকামী স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যা করছে। সর্বোপরি, দখলদারিত্ব অবসানের পর থেকে খেরসন অঞ্চলে ৩২ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে রুশ বাহিনী।
এদিকে খেরসনের বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্টের দফতরের উপপ্রধান কিরিলো টিমোশেঙ্কো।
রুশ বাহিনী শহরটি ছাড়ার সময় এটি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিল। পরে সেখানে দ্রুত সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয় কিয়েভ। মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে দেওয়া পোস্টে কিরিলো টিমোশেঙ্কো বলেন, ‘প্রথমে আমরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। এরপর গৃহস্থালীর গ্রাহকদের জন্য।’
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর কিছু দিনের মধ্যেই তারা খেরসন শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে সমর্থ হয়। তবে শেষ পর্যন্ত এই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় মস্কো। শহরের দখল হারালেও ডিনিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে অবস্থান নিয়ে সেখান থেকে খেরসনে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখে রুশ বাহিনী।