পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
# দুর্নীতির অভিযোগে যে কোনো সময় হতে পারেন গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার হতে পারেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দুর্নীতির মামলায় তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। এদিকে, দুটি নোটিশ পাঠানোর পরও দেশটির শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা এফআইএ’র কাছে হাজিরা দেননি তিনি। ফলে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমের দাবি তেমনই।
শুক্রবারই এফআইএ দ্বিতীয় নোটিস পাঠিয়েছিল ইমরানকে। কিন্তু পিটিআই সুপ্রিমো তাদের ডাকে সাড়া দেননি। এর আগে, ১০ আগস্ট পাঠানো নোটিশও একইভাবে উপেক্ষা করেছিলেন তিনি। সংশ্লিষ্ট মহলের মনে করছেন, এভাবে একের পর এক নোটিশ উপেক্ষা করে নিজের বিপদ বাড়িয়ে চলেছেন পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এতে তার গ্রেপ্তারের পথ কার্যতই খুলে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তৃতীয় নোটিশও যদি ইমরান এড়িয়ে যান, তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
তবে এ পরিস্থিতিতেও পাল্টা আক্রমণের পথই বেছে নিচ্ছেন কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার। ইমরান গত বুধবার উল্টো এফআইএকে হুঁশিয়ারি দেন, তার বিরুদ্ধে জারি করা নোটিশ ফিরিয়ে না নিলে আইনি পদক্ষেপ নেবেন তিনি। তার বক্তব্য, আপনাকে উত্তর দিতে দায়বদ্ধ নই আমি। আপনাকে তথ্য দেয়ার দায়ও আমার নয়। দুদিনের মধ্যে যদি নোটিশ ফিরিয়ে না নেয়া হয়, আপনাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবো আমি।
কিন্তু তার এ হুঁশিয়ারিকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা পাত্তা দিচ্ছে না। বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়, যখন শুক্রবার ইমরানকে দ্বিতীয় নোটিশ পাঠানো হয়।
এদিকে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে ইমরানের ভাষণের ‘লাইভ’ সম্প্রচার। দেশটির ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা জানিয়েছে, একমাত্র ইমরান খানের ভাষণের রেকর্ড দেখানো যাবে। ভাষণটি যাতে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পাদনা করা যেতে পারে। সব মিলিয়ে মসনদ হারিয়ে পাকিস্তানে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন ইমরান খান। এ পরিস্থিতিতে তিনি নতুন কোনো রাজনৈতিক চাল খাটান কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল।
ডি- এইচএ