পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করতে যাচ্ছে রাশিয়া। বুধবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। পোল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় গ্যাস কোম্পানি পিজিনিগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
পিজিনিগ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ৮টা থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে রাশিয়ার গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রমের পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়েছে। অন্যদিকে বুলগেরিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার থেকে গ্যাস সরবরাহ স্থগিত করা হবে বলে তাদের জানানো হয়েছে।
গ্যাজপ্রম গত মাসেই রুশ মুদ্রা রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধের নতুন নিয়ম জারি করে। কিন্তু রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধে অস্বীকৃতি জানায় পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্যাজপ্রম।
পিজিনিগ গ্যাসের জন্য অনেকাংশে গ্যাজপ্রমের ওপর নির্ভরশীল ছিল। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে কোম্পানিটি রাশিয়া থেকে তাদের মোট গ্যাসের ৫৩ শতাংশ আমদানি করেছিল।
রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধের খবরের প্রতিক্রিয়ায় পোল্যান্ডের জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা দেশের গ্যাস সরবরাহ নির্বিঘ্ন রেখেছে। এ বিষয়ে জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী আনা মোসকওয়া বলেন, মজুত রাখা গ্যাস ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না। গ্রাহকদের গ্যাস সংযোগও বিচ্ছিন্ন করতে হবে না।
পিজিনিগ জানিয়েছে, তাদের ভূগর্ভস্থ গ্যাস সংরক্ষণাগার প্রায় ৮০ শতাংশ পূর্ণ আছে। বর্তমানে গ্যাসের চাহিদাও কম রয়েছে। সুইনোজসিতে একটি প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্রসহ পোল্যান্ডের অবশ্য বিকল্প গ্যাস সরবরাহের উৎসও রয়েছে।
এছাড়া বুলগেরিয়া তার মোট সরবরাহকৃত গ্যাসের ৯০ শতাংশেরও বেশি পেয়ে থাকে গ্যাজপ্রমের কাছ থেকে। রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তের পর দেশটি বলছে, তারা বিকল্প উৎসগুলো খুঁজে বের করার পদক্ষেপ নিয়েছে কিন্তু বর্তমানে গ্যাস ব্যবহারের ওপর কোনো বিধিনিষেধের প্রয়োজন নেই।