Image default
আন্তর্জাতিক

বাম-কংগ্রেসের ভরাডুবি পশ্চিমবঙ্গে

আর ঠেকানো গেল না পতন। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে এবার কার্যত সিপিএম-কংগ্রেস-আইএসএফের (ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট) ভরাডুবি হলো।

নির্বাচনের পুরো ফল এখনো প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন, রোববার সন্ধ্যা নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে তা প্রকাশ করা হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী, বিধানসভার মাত্র একটি আসনে জিততে পেরেছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা আনন্দবাজার জানিয়েছে, বিধানসভার তিনটি আসনে জয়ী হতে পেরেছেন জোটের প্রার্থীরা। অথচ, গত বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম-কংগ্রেস জোট জয়ী হয়েছিল ৭০টি আসনে।

জার্মানিভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের নির্বাচনে সিপিএম-কংগ্রেস জোটের নবীন নেতারা তো বটেই, জ্যেষ্ঠ নেতারাও ব্যর্থ হয়েছেন ভোট টানতে। পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরীর দুর্গ বহরমপুরে এগিয়ে আছে বিজেপি। শিলিগুড়িতে জোটপ্রার্থী সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য আছেন তৃতীয় স্থানে।

পিছিয়ে আছেন কংগ্রেস নেতা ও বিদায়ী বিধানসভার বিরোধী নেতা আব্দুল মান্নান, সিপিএম নেতা ও বিধানসভার সাবেক মন্ত্রী মহম্মদ সেলিম। কগ্রেসের কোনো প্রাথী এগিয়ে নেই। আইএসএফেরও কোনো প্রার্থী এগিয়ে নেই। আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ সংখ্যালঘু ভোট টানতে কার্যত ব্যর্থ।

ভোটের ফলের প্রাথমিক হিসাবে দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম সাড়ে তিন শতাংশ ও কংগ্রেস আড়াই শতাংশ ভোট পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রবণতা বজায় থাকলে পশ্চিমবঙ্গ রাজনীতিতে পুরোপুরি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে সিপিএম-কংগ্রেস।

এক সময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ছিল মালদহ ও মুর্শিদাবাদ। কিন্তু সেখানেও দেখা যাচ্ছে, প্রায় সব আসনেই পিছিয়ে কংগ্রেস ও সিপিএম। এই দুই সংখ্যালঘু প্রধান জেলায় কংগ্রেস ও বামের ভোটের বড় অংশ চলে গেছে তৃণমূলের কাছে। ফলে তাদের ভরাডুবি হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তার দুর্গ বাঁচাতে পারেননি। এতদিন ধরে গনি খান চৌধুরির কল্য়াণে মালদহে জিতত কংগ্রেস। সেখানেও তারা হেরেছে।

Related posts

বড় যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে

News Desk

মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অবসানে গোপন লেনদেন

News Desk

সিরিয়ার ক্ষমতায় কি আবারও আসাদ?

News Desk

Leave a Comment