অনুমতি ছাড়াই ভারতের নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলে (Exclusive Economic Zone) একটি মার্কিন রণতরী মহড়া চালালো। যদিও আমেরিকার দাবি, আন্তর্জাতিক আইন মেনেই চালানো হয়েছে সেই মহড়া।গত বুধবার একটি বিবৃতিতে মার্কিন নৌসেনার সেভেনথ ফ্লিটের (সপ্তম বাহিনী) তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, লাক্ষ্মদ্বীপের পশ্চিমে ১৩০ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে আন্তর্জাতিক জলসীমা আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারতের পূর্ব সম্মতির অনুরোধ না করে মহড়া চালিয়েছে। সমুদ্রপথে ভারত যে অত্যধিক দাবি করে, তা চ্যালেঞ্জ করেই সেই মহড়া চালানো হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক আইনে প্রদত্ত অধিকার, স্বাধীনতা এবং সমুদ্রের ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে সেই অভিযান চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন নৌসেনা।
মার্কিন নৌসেনার সেভেনথ ফ্লিট যুক্তরাষ্ট্রে মোতায়েনকারী নৌবহরগুলোর মধ্যে সবথেকে বড়। পাকিস্তানের সাথে একাত্তরের যুদ্ধের সময় ভারতকে চাপ দেওয়ার জন্য বঙ্গোপসাগরে আমেরিকা এই সেভেনথ ফ্লিট নৌবহরটি পাঠিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মধ্যে দিয়ে এই যুদ্ধ শেষ হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জনিয়েছেন, প্রতিটি উপকূলীয় দেশের নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলে (Exclusive Economic Zone) তার তীর থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল (৩৭০ কিলোমিটার) পর্যন্ত বিস্তৃত এবং ওই অঞ্চলের তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং মাছ সহ জলের সমস্ত সম্পদের একচেটিয়া অধিকার রয়েছে ওই দেশের।ওই অঞ্চলে যেকোনো সামরিক মহড়ার জন্যে সেই দেশের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।
২০১৯ সালে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নিকটবর্তী অঞ্চলে চীনা জাহাজকে ভারতীয় জলসীমার মধ্যে প্রবেশ করলে নৌবাহিনী প্রধান জানিয়েছিলেন, কোনো দেশের যদি ভারতের জলসীমায় কোনো নৌমহড়া করতে হয় তবে সেই দেশকে ভারতের থেকে অনুমতি নিতে হবে। তবে ভারতীয় নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলে মার্কিন নৌ মহড়া নিয়ে বিদেশ মন্ত্রক থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলে নি।
জো বাইডেনের শাসনকালের শুরুতেই কি কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়তে চলেছে ভারত-আমেরিকা? অনুমতি ছাড়াই ভারতের নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতের অনুমতি ছাড়াই মার্কিন রণতরী মহড়া চালানোর পর এমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অনেকের মনে।