ফাইল ছবি
আগামী বছর যুক্তরাজ্য ও ইউরোকে মুদ্রা হিসেবে বেছে নেয়া ইউরোজোন মন্দায় পড়তে পারে আভাস দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মর্গান স্ট্যানলি বলেছে, চাকরির বাজার স্থিতিশীল থাকায় এ অবস্থা থেকে সামান্যের জন্য বেঁচে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় গত রবিবার মর্গান স্ট্যানলির সিরিজ প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত বিধিনিষেধের তিন বছর পর চীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো চালু হওয়ার সম্ভাবনায় দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হতে পারে। এর সুফল পেতে পারে এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতিগুলোও।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ২ শতাংশ, যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রাক্কলিত ২ দশমিক ৭ শতাংশের চেয়ে কম। মর্গান স্ট্যানলির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, আগামী বছর উন্নত দেশগুলো মন্দা অথবা মন্দার কাছাকাছিতে থাকবে। অন্যদিকে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো মোটামুটি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সক্ষম হবে, তবে বৈশ্বিক সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নতির বিষয়টি অস্পষ্ট।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৩ সালে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫ শতাংশ। অন্যদিকে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোতে গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। উন্নত ১০টি দেশের (বেলজিয়াম, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র) গড় প্রবৃদ্ধি হবে দশমিক ৩ শতাংশ।
করোনা ভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি রোধে এবছর বিশ্বজুড়ে সুদহার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। এমন বাস্তবতায় মর্গান স্ট্যানলি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৩ সালেও সুদহার বাড়ানো অব্যাহত রাখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে সামান্যের জন্য মন্দা এড়াবে যুক্তরাষ্ট্র, তবে কর্মসংস্থানে প্রবৃদ্ধি কার্যকরভাবে ধীরগতির হওয়া এবং বেকারত্বের হার বাড়তে থাকায় অবস্থান খুব একটা স্বস্তিদায়ক হবে না।
এনজে