যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইট। ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলোর স্যাটেলাইটগুলোতে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কনস্তাতিন ভরোনতসভ এ হুঁশিয়ারি দেন।
কনস্তাতিন ভরোনতসভ বলেন, জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা আধিপত্য বিস্তারে মহাকাশ সক্ষমতা ব্যবহারের চেষ্টা করছে। ইউক্রেনকে সহায়তা করতে স্যাটেলাইটের এমন ব্যবহার বিশ্বের জন্য হবে খুবই বিপজ্জনক একটি কৌশল। খবর রয়টার্সের।
জাতিসংঘকে উদ্দেশ্য করে কনস্তাতিন বলেন, পশ্চিমাদের মদদে ইউক্রেন আমাদের আধা-বেসামরিক অবকাঠামোগুলোতে হামলার পরিকল্পনা করছে। স্যাটেলাইট ব্যবহার করে এ ধরনের পরিকল্পনা রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যকার উত্তেজনা আরও উসকে দেবে। আমরা সশস্ত্র সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বাণিজ্যিক ও বেসামরিক মহাকাশ অবকাঠামোগুলো সম্পৃক্ত করার বিষয়ে সতর্ক করছি।
তবে ভরোনতসভ কোনো নির্দিষ্ট স্যাটেলাইট কোম্পানির নাম উল্লেখ করেননি। যদিও কিছুদিন আগে ইলন মাস্ক ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার প্রতিষ্ঠান স্পেসেক্স ইউক্রেনে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালু রাখতে বিনিয়োগ চালিয়ে যাবে।
ইলন এটিও উল্লেখ করেন, তার এ সিদ্ধান্ত কোনো পক্ষকে সহায়তা বা মদদ দেওয়ার জন্য নয়, বরং ভালো কাজের প্রয়োজনেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
১৯৫৭ সালে রাশিয়া সর্বপ্রথম মানবনির্মিত স্যাটেলাইট স্পুটনিক ১ মহাশূন্যে স্থাপন করে। এছাড়া ১৯৬১ সালে রাশিয়া মহাশূন্যে প্রথম মানুষ পাঠায় ও ২০০১ সালে দেশটি নিজেদের স্যাটেলাইট ধ্বংসের জন্য একটি অ্যান্টি স্যাটেলাইট স্থাপন করে।
বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের তুলনায় রাশিয়ার সমান বা তার বেশি মহাকাশ সক্ষমতার প্রমাণ দেয়। ১৯৬২ সালে কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর থেকেই আমেরিকা ও ফ্রান্সের মতো পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সরাসরি বিরোধিতা শুরু হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এরই মধ্যে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছেন।
তাছাড়া যুদ্ধটি কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারকে ব্যাপকভাবে ব্যাহত করছে। দিন যত যাচ্ছে পরিস্থিতি ততই জটিল হচ্ছে এবং রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের বিরোধিতা আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
সেই সঙ্গে বিশ্ব অর্থনীতি অনাকাঙিক্ষত বিপর্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে।
এমকে