রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অন্তত ৪০টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে ‘কিয়েভের ভূত’ নামে পরিচিতি পাওয়া ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর একজন পাইলট রুশ সৈন্যদের সাথে লড়াইয়ে মারা গেছেন। টাইমস অব লন্ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে ইউক্রেনের এই পাইলট মারা গেছেন।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
যুদ্ধে প্রাণ হারানো ইউক্রেনীয় এই পাইলটের নাম স্টেপান তারাবালকা। এক সন্তানের জনক ইউক্রেনীয় মেজর তারাবালকাকে ‘যুদ্ধের বীর’ হিসেবে অভিহিত করেছে টাইমস অব লন্ডন।
ব্রিটিশ এই সংবাদপত্র বলছে, গত ১৩ মার্চ প্রচুর সংখ্যক শত্রু বাহিনীর সাথে লড়াইয়ের সময় মারা গেছেন। তিনি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান নিয়ে শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন। সেই সময় শত্রুদের ছোড়া গুলিতে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়ে মারা যান তিনি।
স্টেপান তারাবালকার পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে টাইমস অব লন্ডন বলছে, ইউক্রেনের এই পাইলটকে সাহসিকতার জন্য দেশটির সর্বোচ্চ ‘অর্ডার অব দ্য গোল্ডেন স্টার’ মরণোত্তর পদক দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ‘ইউক্রেনের বীর’ খেতাবও দেওয়া হয়েছে।
টাইমস অব লন্ডনের মতে, যুদ্ধে ব্যবহৃত পাইলট তারাবালকার হেলমেট এবং গগলস এখন লন্ডনে নিলামে তোলা হবে। যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিনে গুলি চালিয়ে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ১০টি বিমান ভূপাতিত করে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পান পাইলট তারাবালকা। গত মাসে এক টুইট বার্তায় ইউক্রেনের সরকার জানায়, লোকজন তাকে কিয়েভের ভূত হিসেবে ডাকতেন। এখনও তাই করেন।
পশ্চিম ইউক্রেনের কোরোলিভকা নামের ছোট একটি গ্রামে জন্ম মেজর তারাবালকার। শ্রমজীবী পরিবারে বেড়ে ওঠা তারাবালকা শৈশব থেকেই পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন।
মেজর তারাবালকার বাবা-মা টাইমসকে বলেছেন, শেষ ফ্লাইট অথবা মৃত্যুর ব্যাপারে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী তাদেরকে কোনো ধরনের তথ্য সরবরাহ করেনি। ‘আমরা জানি সে একটি মিশনের বিমান উড়াচ্ছিল। সে তার মিশন, তার কাজটি সম্পন্ন করেছে। তারপর আর ফিরে আসেনি। এখন পর্যন্ত আমরা এসব তথ্য পেয়েছি।’