ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ফাইল ছবি
চলতি মাসে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি ৫৪-৫৫ লাখ টনে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গত মাসে দেশটি ৪৫ লাখ টন শস্য রপ্তানি করেছে। সে হিসাবে রপ্তানি বাড়বে প্রায় ১০ লাখ টন। দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় স¤প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
তথ্য বলছে, যুদ্ধের আগে ইউক্রেন প্রতি মাসে বিশ্ববাজারে ৬০ লাখ টন খাদ্যশস্য রপ্তানি করত। কিন্তু রুশ সেনারা দেশটির কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দর অবরোধ করার কারণে মাসভিত্তিক রপ্তানি ১০ লাখ টনে নেমে আসে। পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় সমুদ্রপথে রপ্তানি। ফেব্রুয়ারি-জুলাই পর্যন্ত দেশটি শুধু পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে স্থল ও রেলপথে স্বল্প পরিমাণ শস্য রপ্তানি করে। ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ খাদ্যশস্য রপ্তানিকারক দেশ। কিন্তু যুদ্ধের কারণে দেশটির রপ্তানিতে ধস নামায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বিশ্ববাজারে। লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে শস্যসহ সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয় জাতিসংঘ। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে জুলাইয়ের শেষ দিকে ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। তুরস্ক ও জাতিসংঘ এ চুক্তিতে মধ্যস্থতা করে। এ চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরীয় তিন বন্দর থেকে অবরোধ উঠিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। ফলে আবারো দেশটির খাদ্যশস্য রপ্তানি বাড়তে শুরু করেছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, চলতি মাসের প্রথম ১৩ দিনে ইউক্রেন ১৫ লাখ টন খাদ্যশস্য রপ্তানি করেছে। এছাড়া চুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটি ৩৯ লাখ টন খাদ্যশস্য রপ্তানি করে। রপ্তানিকৃত খাদ্যশস্যের মধ্যে বেশির ভাগই ভুট্টা। সর্বশেষ গত সোমবার ১ লাখ ৭৮ হাজার ৭৮০ টন কৃষিপণ্য নিয়ে ইউক্রেনের বন্দর ছেড়ে গিয়েছে চারটি জাহাজ।
দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় খাদ্যশস্য উৎপাদনের পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রেখেছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এ বছর সব মিলিয়ে ৫ কোটি থেকে ৫ কোটি ২০ লাখ টন শস্য উৎপাদন হবে।