Image default
আন্তর্জাতিক

৮ দিনের ইউরোপ সফর বাইডেনের, মুখোমুখি হবেন পুতিনের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম বিদেশ সফরে যাচ্ছেন জো বাইডেন। স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করবেন তিনি। আট দিনের এই ইউরোপ সফরে বৃহস্পতিবার কর্নওয়ালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সাথে বৈঠক করবেন বাইডেন। সেখানে তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে। কারণ সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসছে যুক্তরাজ্য। সুতরাং দুই দেশের মধ্যে হতে পারে নতুন কোনো বাণিজ্যিক চুক্তি।

এরপর বাইডেন যোগ দেবেন জি ৭ সম্মেলনে। সেখানে এবার প্রাধান্য পাবে ভ্যাকসিন কূটনীতি, বিশ্ববাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও উন্নয়নশীল বিশ্বে অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের উদ্যোগের মতো বিষয়গুলো।

এছাড়া গুগল, অ্যাপল ও অ্যামাজনের মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ করপোরেট কর পরিশোধের বিষয়ে সম্প্রতি যে চুক্তি হয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। এছাড়া গত সপ্তাহে জো বাইডেন সারাবিশ্বকে ২০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন দেয়ার অঙ্গিকার করেছেন। বৈশ্বিক সংকটময় মুহূর্তে সে ভ্যাকসিনগুলো আদায়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন বাইডেন।

ডেমোক্রেট নেতার জন্য সফরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দেশটির সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ইউরোপের অনেক দেশের সাথে মার্কিনিদের সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। সে সম্পর্কগুলো সংশোধন করায় বিষয়টি রয়েছে বাইডেনের এবারের এজেন্ডায়। বিশেষ করে রাশিয়ার সাথে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টি।

জি ৭ সম্মেলনের তিন দিন পর জো বাইডেন ও তার স্ত্রী মার্কিন ফাস্ট লেডি জিল ট্রেসি দুজনে সাক্ষাৎ করবেন ব্রিটিশ রানী এলিজাবেথের সাথে। এর আগে ব্রিটিশ রানী বাইডেনের প্রথম সাক্ষাৎটি হয়েছিল ১৯৮২ সালে যখন জো ছিলেন ডেলাওয়্যারের সিনেটর। এরপর বাইডেন যাবেন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে। সেখানে মিলিত হবেন ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সাথে। সেখানে চীন ও রাশিয়ার বিষয়ে আলাচনা হতে পারে।

বাইডেনের এর পরের গন্তব্য সবচেয়ে বেশি আলোচনায়। এ পর্যায়ে তিনি যাবেন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। আগামী ১৬ জুন সেখানে তিনি সাক্ষাৎ করবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। ইউক্রেন, সাইবার হামলা এবং রাশিয়ার নতুন পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের পদক্ষেপ নিয়ে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বিশ্বের ক্ষমতাধর দুই নেতা। সেখানে আলোচনা হতে পারে চলমান করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ ও আঞ্চলিক সংঘাত নির্মূলের মতো বিষয়গুলো। এছাড়া রয়েছে পুতিনবিরোধী রুশ নেতা আলেক্সেই নাভালনির বিরুদ্ধে রাশিয়ার তদন্ত এবং তাকে আটক রাখার বিষয়টি। যাকে রুশ গোয়েন্দারা বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন।

জেনেভায় এর আগেও মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশ। পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ১৯৮৫ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্ভাচেভ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের মধ্যে শীর্ষ বৈঠকটি হয়েছিল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়।

Related posts

কোটি রুপি খোয়াল সেরাম ইনস্টিটিউট

News Desk

সিরিয়া উপকূলে প্রাণহানি বেড়ে ৯৪

News Desk

২০০ কোটি ডোজের ৬০ শতাংশই পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন-ভারত

News Desk

Leave a Comment