Image default
মুক্তিযুদ্ধ

মুক্তিযুদ্ধের ৩ নং সেক্টর এর সীমানা,সেক্টর কমান্ডার এবং হেডকোয়ার্টার

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য তৎকালীন অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানকে (বর্তমান বাংলাদেশ) ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে। এটি ছিলো যুদ্ধ পরিচালনার একটি সামরিক কৌশল।

১৯৭১ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই সেক্টর গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানানো হয়, ১১টি সেক্টরের প্রতিটি সেক্টরে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত হবে। প্রতিটি সেক্টরকে আবার বেশ কয়েকটি সাব-সেক্টরে আলাদা করে একজন অধিনায়কের দায়িত্বে হস্তান্তর করা হয়।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো; বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস-সেক্টর এক, পৃষ্ঠা ৩৩

সেই লক্ষ্যে ৪ এপ্রিল সিলেটের হবিগঞ্জ মহকুমার সীমান্ত সংলগ্ন তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ডাক বাংলোয় কর্নেল এম.এ.জি. ওসমানীর সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানকে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট ও যশোর- এই চারটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়। পরবর্তীতে অবশ্য এই চার অঞ্চল বিভক্তি থেকে সরে আসে নীতিনির্ধারকেরা। ১১ এপ্রিল শিলিগুড়ি বেতারকেন্দ্র থেকে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ সমগ্র দেশকে আটটি সামরিক অঞ্চলে বিভক্ত করে আটজন সেক্টর কমান্ডার নিয়োগের ঘোষণা দেন।

কলকাতায় সেক্টর কমান্ডারদের সভায় কর্নেল ওসমানীর সাথে সেক্টর কমান্ডারগণ; © মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র

অবশেষে ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে বৃষ্টিস্নাত কলকাতার ৮নং থিয়েটার রোডে তাজউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক কনফারেন্সে সারা দেশকে সামরিকভাবে এগারোটি সেক্টরে ভাগ করা হয়। মূলত মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবার পর এটিই ছিল সেক্টর কমান্ডারদের প্রথম কনফারেন্স। সভায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এম এ রবকে বাংলাদেশ ফোর্সেস-এর চিফ অব স্টাফ ও গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারকে ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আর রণাঙ্গনের প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানীকে মনোনীত করা হয়।

ত্রিপুরার সীমান্ত সংলগ্ন মনতলা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাগণ মেজর সফিউল্লাহর নেতৃত্বে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন; © বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর তিন, পৃষ্ঠা ৩৯৯

৩ নম্বর সেক্টর
সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা, কিশোরগঞ্জ মহকুমা, আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ নিয়ে ৩ নম্বর সেক্টর। সদরদফতর ছিলো হেজামারা। একাত্তরের ১০ এপ্রিল থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সেক্টর কমান্ডার পদে সক্রিয় ছিলেন মেজর কে এম শফিউল্লাহ। এরপর মেজর এএনএম নূরুজ্জামান ২৩ জুলাই, ১৯৭১ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

গেরিলা হামলায় বিধ্বস্ত রেলসেতু; © বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর তিন, পৃষ্ঠা ৩৯৯

৩ নং সেক্টরের ভূ-প্রকৃতি যেমন বৈচিত্র্যময়, তেমনি ছিল এখানকার রণাঙ্গনগুলোও। এই সেক্টরে যেমন ছিল ছোট ছোট পাহাড় ও টিলা, তেমনি ছিল সমতল ভূমি। আরো ছিল চা বাগান, নদ-নদী, খাল-বিল এবং হাওর-বাওর। সার্বিকভাবে এই সেক্টরের অধিকাংশ এলাকা বর্ষা আর শীতকালে প্রথাগত যুদ্ধের জন্য অনুপযোগী ছিল। অন্যদিকে এই ভূ-প্রকৃতি ও জলবায়ু গেরিলা যুদ্ধের জন্য বেশ অনুকূল ছিল যেটা একাত্তর সালের নয় মাসে এই সেক্টরে সত্যে পরিণত হয়েছিল। চলুন, ইতিহাসের পথ ধরে ঘুরে আসি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই উত্তাল ৩ নং সেক্টর থেকে।

৩ নং সেক্টরের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা; © বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর তিন

সেক্টর এলাকা: বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহকুমা, বৃহত্তর সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা, ঢাকা জেলার গাজীপুর ও নরসিংদী মহকুমা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উত্তরাংশ ও নারায়ণগঞ্জের একাংশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল এই ৩ নং সেক্টর। এটি ভৌগোলিকভাবে ২৩°৯০′ থেকে ২৪°৬০′ উত্তর অক্ষরেখা এবং ৯০° থেকে ৯১°৯০′ পূর্ব দ্রাঘিমা রেখার মধ্যে অবস্থিত। ৩ নং সেক্টরের উত্তরে ১১ নং সেক্টরের ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের অবস্থান, দক্ষিণে ২ নং সেক্টরের ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লার অবস্থান, পশ্চিমে টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জ আর পূর্বে সিলেটের মৌলভীবাজার ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। ৩ নং সেক্টরের আয়তন ছিল প্রায় ৯, ৮০০ বর্গ কিলোমিটার।

সদর দপ্তর: প্রথমে ছিল বাংলাদেশ ভূখণ্ডের মনতলায়; পরবর্তীতে এটি স্থানান্তর করা হয় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের হোজামারা জেলার সিমনা এলাকায়।

সেক্টর কমান্ডার: মেজর কাজী মোহাম্মদ সফিউল্লাহ (এপ্রিল – ৩০ সেপ্টেম্বর); মেজর এ এন এম নূরুজ্জামান (১ অক্টোবর – ১৬ ডিসেম্বর)।

মেজর কাজী মোহাম্মদ সফিউল্লাহ; © বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর তিন, পৃষ্ঠা ৩৯৩
মেজর এ এন এম নূরুজ্জামান; © বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর তিন, পৃষ্ঠা ৩৯৩

সাব-সেক্টরের সংখ্যা: ৭টি; এখানকার কিছু কিছু সাব-সেক্টরকে ভিন্ন নামেও ডাকা হতো। সাব-সেক্টরগুলো ছিল- আশ্রমবাড়ি বা বাঘাইবাড়ি, হাতকাটা, সিমনা, পঞ্চবটী, মনতলা বা বিজয়নগর, কালাছড়া, কলকলিয়া বা বামুটিয়া। তবে এই সেক্টরে বিশাল এলাকা সাব-সেক্টর বহির্ভূত ছিল। কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর মহকুমা, হবিগঞ্জ মহকুমার লাখাই, বাহুবল, নবীগঞ্জ, বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ থানা, নারায়ণগঞ্জ মহকুমার আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ থানা ছিল ৩ নং সেক্টরের সাব-সেক্টর বহির্ভূত অঞ্চল।

৩ নম্বর সেক্টরের দশটি সাব-সেক্টর ও কমান্ডার-

• আশ্রমবাড়ি – ক্যাপ্টেন আজিজ ও ক্যাপ্টেন এজাজ।
• বাঘাইবাড়ি – ক্যাপ্টেন আজিজ ও ক্যাপ্টেন এজাজ।
• হাতকাটা – ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান।
• সিমলা – ক্যাপ্টেন মতিন।
• পঞ্চবটী – ক্যাপ্টেন নাসিম।
• মনতলা – ক্যাপ্টেন এমএস এ ভূঁইয়া।
• বিজয়নগর – এমএস এ ভূঁইয়া।
• কালাছড়া – লেফটেন্যান্ট মজুমদার।
• কলকলিয়া – লেফটেন্যান্ট গোলাম হেলাল মোরশেদ।
• বামুটিয়া – লেফটেন্যান্ট সাঈদ।

৩ নং সেক্টরের সাব-সেক্টর বহির্ভূত অঞ্চলসমূহ

৩ নং সেক্টরের অধিকাংশ অঞ্চল ছিল গঠিত সাতটি সাব-সেক্টরের বাইরে। এই অঞ্চলগুলোতেও সংগঠিত হয়েছিল কিছু গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ। নিচে অঞ্চলভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধসমূহের উল্লেখ করা হল-

পঞ্চবটী সাব-সেক্টর; © বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর তিন, পৃষ্ঠা ১৭৯

হবিগঞ্জ: বদলপুর ও আজমিরীগঞ্জের যুদ্ধ (১৬ নভেম্বর), বুল্লাবাজার অপারেশন (২৮ নভেম্বর), লাখাই বিজয় (২৮-২৯ নভেম্বর), পানিউমদা অপারেশন (ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ) ইত্যাদি।

কিশোরগঞ্জ: কটিয়াদি অ্যামবুশ (১৬ জুলাই ও ১৬ আগস্ট), রামনগর গ্যাস লাইন অপারেশন (৩০ জুলাই), কুলিয়ারচর থানা অপারেশন (১৪ আগস্ট), গুরুই গ্রামের যুদ্ধ (১৫ আগস্ট), ভৈরব থানা আক্রমণ, বগামারা যুদ্ধ (৮ অক্টোবর), তাড়াইল থানা আক্রমণ (১২ অক্টোবর), কুলিয়ারচর রেল সেতু ধ্বংস (অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ), নিকলী থানা আক্রমণ (১৫ থেকে ১৮ অক্টোবর), সরারচর রেলস্টেশনের যুদ্ধ (২০ থেকে ২২ অক্টোবর), বাজিতপুর থানা আক্রমণ (২১ অক্টোবর), সরারচর যুদ্ধ (২২ অক্টোবর), করিমগঞ্জ থানা আক্রমণ (৯ নভেম্বর), অষ্টগ্রাম থানা আক্রমণ (২৭ নভেম্বর), ভৈরব যুদ্ধ (১০ ডিসেম্বর) ইত্যাদি।

গাজীপুর: ফুলবাড়িয়ার যুদ্ধ (জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ), দরদরিয়া-কাপাসিয়ার যুদ্ধ (সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ), তরগাঁও অ্যামবুশ (১১ অক্টোবর), মৌচাকের যুদ্ধ (১৫ অক্টোবর), কালিয়াকৈর বাজারের যুদ্ধ (২২ অক্টোবর), ধীরাশ্রমের যুদ্ধ (নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ), ন্যাশনাল জুট মিলের যুদ্ধ (ডিসেম্বর), কালিয়াকৈর বাজারের ত্রিমুখী যুদ্ধ (১০-১১ ডিসেম্বর), পুবাইল রেলসেতুর যুদ্ধ (১৩ ডিসেম্বর), গাজীপুর সমরাস্ত্র কারখানার যুদ্ধ (১৫ ডিসেম্বর), ছয়দানার যুদ্ধ (১৫ ডিসেম্বর) ইত্যাদি।

নরসিংদী: রামপুরের যুদ্ধ (১৬ জুলাই), হাতিরদিয়া অ্যামবুশ ও অপারেশন তালটিয়া (জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ), জিনারদি অপারেশন (১৩ আগস্ট), ব্রহ্মপুত্র সেতু অপারেশন (আগস্ট), হাটুভাঙ্গা যুদ্ধ (১৬ সেপ্টেম্বর), চন্দনদিয়া অপারেশন (সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ), অপারেশন বড়ৈবাড়ী (সেপ্টেম্বর), মনোহরদী অবরোধ (২১ অক্টোবর), নরসিংদী মুক্তকরণ (১১ থেকে ১৩ ডিসেম্বর) ইত্যাদি।

নারায়ণগঞ্জ: রূপসীবাজার অপারেশন (২৩ আগস্ট), জাঙ্গীর অপারেশন (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর), কাঞ্চন বাজার অপারেশন (১০ অক্টোবর), বগাদী গ্রামের অ্যামবুশ (৭ নভেম্বর), কাঁচপুর ফেরিঘাট আক্রমণ (২৬ নভেম্বর), বানিয়াদী এলাইড জুট মিল অপারেশন (১২ ডিসেম্বর) ইত্যাদি।

ভৈরব ও আশুগঞ্জের যুদ্ধ; © বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর তিন, পৃষ্ঠা ১৯১

প্রধান প্রধান নদ-নদী: এই সেক্টর ছিল নদীবহুল। জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এই সেক্টরের নদ-নদী আর তাদের শাখা-প্রশাখাগুলো। মেঘনা ছিল এই অঞ্চলের প্রধান নদী। একাত্তরে এই নদী ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। কারণ, পূর্বদিক থেকে ঢাকা প্রবেশের ক্ষেত্রে হানাদার বাহিনীর জন্য এই নদী ছিল প্রথম ও প্রধান বাধা। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নদীর মধ্যে শীতলক্ষ্যা, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর নিম্নভাগ ছিল অন্যতম। এই সেক্টরের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদের নাম পুরাতন ব্রহ্মপুত্র। এছাড়াও কালনী, তিতাস, খোয়াই, গোপালা, সুতাং, রাঙ্গী, রত্না, কালিশিরি, কলকলিয়া, বুড়ি, পাগলা, আড়িয়াল খাঁ, কলাগাছিয়া, তুরাগ, বংশী, বালু, পিয়াইন ছিল এই সেক্টরের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া আরো কিছু নদ-নদী।

বিল ও হাওর: এই সেক্টরে ছিল অসংখ্য বিল, হাওর, খাল ও জলাশয়। গুপ্ত ও গেরিলা আক্রমণের জন্য এই ধরনের জলভাগ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য খুবই কার্যকর। কুকি, তেঘরিয়া, ঘোড়া, ধীঘা, বাঘা, ঘনিয়াভাঙ্গা, গাঞ্জুয়া, বড়ডালা, হাউসা, বাদি, ডনকা, কালেশ্বর, চেলওয়াল, দুয়াসুরা, মারিয়া, বাফলার বিল ইত্যাদি ছিল এই সেক্টরের উল্লেখযোগ্য বিল। হাওরের মধ্যে ছিল- হুমাইপুর, সোমাই, তল্লার, সুরমা বাউলা, ইত্যাদি।

৩ নং সেক্টরের খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাগণ

বীর উত্তম: তিনজন; মেজর কে এম সফিউল্লাহ, মেজর এ এন এম নূরুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন আজিজুর রহমান।

বীর বিক্রম: ৬ জন। এরা হলেন- মেজর আবু সালেহ মোঃ নাসিম, মেজর মইনুল হোসেন চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট হেলাল মোর্শেদ খান, সুবেদার আবদুল করিম, নায়েক সুবেদার আশরাফ আলী খান ও মুজাহিদ রমিজ উদ্দিন।

বীর প্রতীক: মোট ২৩ জন।

ইস্ট বেঙ্গল, সিলেট ও ময়মনসিংহের ইপিআর বাহিনী নিয়ে ৩ নম্বর সেক্টর গঠিত হয়। এর আওতায় গড়ে উঠেছিল ১৯টি গেরিলা ঘাঁটি। প্রায় ৩০ হাজার গেরিলা যোদ্ধা কুমিল্লা-সিলেট সড়কে বেশ কতগুলো সেতু বিধ্বস্ত করে পাক-বাহিনীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সবচেয়ে সফল আক্রমণ ছিল শায়েস্তাগঞ্জের কাছে ট্যাংক বিধ্বংসী মাইনের সাহায্যে একটি রেলগাড়ি বিধ্বস্ত করা।

Related posts

বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসুল মারা গেছেন

News Desk

মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত কিছু অস্ত্র

News Desk

স্বাধীনতা সংগ্রামের সেক্টরগুলো: ৪ নম্বর সেক্টর

News Desk

Leave a Comment