ওজন কমানো কোনো রাতারাতি সম্ভব নয়। সঠিক উপায়ে, নিয়ম মেনে এবং ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা করতে হয়। অনেকে দিনের পর দিন জিমে গিয়ে ব্যায়াম করেন, তবুও সঠিক পদ্ধতি না মানলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায় না। এর মূল কারণ হলো প্রত্যেকের মেটাবলিজম বা বিপাক প্রক্রিয়ার ভিন্নতা। যার মেটাবলিজম যত ভালো, তার জন্য ওজন কমানো তত সহজ। ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই তাড়াহুড়ো করেন এবং সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধ গ্রহণ করেন, যা অনেক সময় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তবে, সাপ্লিমেন্টের পরিবর্তে কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় রয়েছে যা বাড়িতে সহজেই তৈরি করে খেতে পারেন। এগুলো ওয়ার্কআউটের পর পান করলে আরও বেশি এনার্জি পাবেন এবং ওজন কমাতে সাহায্য করবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক এমন ৩টি পানীয় সম্পর্কে যা আপনার ওজন কমাতে কার্যকর।
১. দারচিনি ও মধুর পানীয়
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দারচিনি ও মধুর পানীয় পান করুন। ঈষদুষ্ণ পানিতে ১/২ চামচ দারচিনির গুঁড়ো ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয় শরীরে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি আপনার ঘুমোনোর সময় মেটাবলিজম সক্রিয় রাখে, ফলে ঘুমানোর সময়েও শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গলে যেতে থাকে। দারচিনি ও মধুর মিশ্রণে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহকে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি থেকেও রক্ষা করে।
২. ঘি ও কফি
কফি খেয়েও ওজন কমানো সম্ভব, তবে এতে অবশ্যই ঘি মেশানো জরুরি। কফির সঙ্গে ১/২ চামচ ঘি মিশিয়ে পান করুন। এটি আপনার পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভর্তি রাখবে, ফলে অনাহূত খিদে লাগবে না এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমবে। তবে কফিতে ভুলেও চিনি মেশাবেন না, মিষ্টির জন্য গুড় ব্যবহার করতে পারেন। ঘি ও কফির এই মিশ্রণ শরীরের চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে সহায়ক।
৩. জিরের পানি
দেহের মেদ ঝরানোর জন্য জিরের পানির জুড়ি নেই। জিরের জল ফ্যাট গলাতে এবং বদহজম দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। জিরের জল তৈরি করতে এক গ্লাস পানিতে গোটা জিরা বা জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। জল ঠান্ডা করে এতে লেবুর রস এবং স্বাদের জন্য সামান্য মধু মিশিয়ে পান করুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই পানীয়টি খেলে দ্রুত ফলাফল পাবেন।
ওজন কমাতে শুধু এই পানীয়গুলোই যথেষ্ট নয়, এর পাশাপাশি নিয়মিত যোগব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য এক স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চলা জরুরি।