সরেজমিনে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখা যায় শিশু বিভাগে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় ছারা বেগম নামে একজন অভিভাবকের।
তিনি বলেন, “আমার ছেলের বয়স ছয় মাস। তিন-চারদিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি। হাসপাতাল আসছিলাম না করোনার আতঙ্কে। হাসপাতালে আসলেই নানা ধরণের টেস্টসহ অযথা হয়রানি হতে হয়। এখন পাঁচ দিন ধরে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। চিকিৎসকরা বলছেন নিউমোনিয়া হয়েছে। আরো কিছুদিন থাকতে হবে।”
নাছিরা বেগম নামে আরেকজন বলেন, “আমার মেয়ের দুই-তিন ধরে জ্বর। চিকিৎসকের পরামর্শে বাচ্চাকে ভর্তি করিয়েছি।”
হাসপাতালটির শিশু বহির্বিভাগের মেডিকেল অফিসার চয়নিকা দেব হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শীতের প্রভাব পড়ায় শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ছয় বছরের উপরের শিশুরা তুলনামুলক ভাবে কম আক্রান্ত হচ্ছে।”
তিনি যোগ করেন, “হাসপাতালে ঠাঁই হচ্ছে না শিশুদের। অনেক শিশুর করোনা আছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু করোনা টেস্ট করার জন্য বললে অভিভাবকরা টেস্ট করাতে চান না।”
শিশু ওয়ার্ডের জেষ্ঠ্য স্টাফ নার্স খালেদা কাউসার বলেন, “কিছুদিন ধরে শীতের প্রকোপ বাড়ায় শিশু রোগীর সংখ্যা প্রচুর বেড়েছে। শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় আমাদের সেবা প্রদান করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। হাসপাতালের বেড থেকে মাটি পর্যন্ত শুইয়ে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে শিশুদের।”
তথ্য সূত্র : https://hello.bdnews24.com/