‘কত কী রয়েছে লেখা, কাজলে কাজলে…!!’ এই গানে মন হারিয়ে যায়নি এমন মানুষ তেমন খুঁজে পাওয়া যাবে না। কাজল মানেই যেন এক আলাদা সৌন্দর্য।
বহু যুগ ধরে কাজল চোখের সাজের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। প্রতিদিন সাজের সময় শুধু এই উপকরণ ব্যবহারেই নিয়ে আসা সম্ভব ভিন্নতা। সাজের কারণে একই চোখে ফুটে উঠতে পারে ভিন্ন ভাষা। স্মোকি, গ্রাফিক্যাল, গ্লিটার একেক সময় একেক চলতি ধারা। তবে কাজল সব সময়ই ছিল, আছে, থাকবে চোখের সাজের মধ্যমণি হয়ে।
রূপবিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কাজল কেনার আগে এর মান নিশ্চিত করুন। কারণ এই উপকরণটির অবস্থান থাকে চোখের একদম কাছে। কাজল লাগানোর টুকটাক নিয়মগুলো মাথায় থাকলে, সাজার ক্ষেত্রে সময়ও কম লাগে। চোখের সাজটিও হবে ভালোভাবে।
♦ এ সময় ওয়াটার প্রুফ কাজল ব্যবহার করুন। তাহলে লেপ্টে যাবে না। চোখ ছোট হলে পুরু বা মোটা করে কাজল লাগাবেন না। এতে চোখ আরও ছোট দেখাবে। ছোট চোখের জন্য নিচের দিকে কাজল লাগিয়ে ঘন করে মাশকারা লাগাতে হবে। চোখের ওপরের অংশে আইলাইনার দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
♦ কাজল সবসময় শার্প করে রাখবেন। শেষ মুহূর্তে সময় না পাওয়া গেলে অনেকেই চাপ দিয়ে ঘষেন। এতে করে ব্যথা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
♦ ঘুমানোর আগে অবশ্যই আই মেকআপ তুলে ফেলতে হবে। কাজল বেশিক্ষণ রাখার ফলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায়। কারণ এতে রাসায়নিক পদার্থ থাকে। অ্যালকোহল নেই, এমন আই মেকআপ রিমুভার তুলায় লাগিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে হবে।
♦ কাজল দেওয়ার পর কালো রঙের আইশ্যাডো দিয়ে দিন এর ওপর। ছড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
♦ দিনের বেলায় আইলাইনার না দিলেই ভালো দেখাবে। এ সময় শুধু কাজল আর মাশকারাই যথেষ্ট।
♦ বড় চোখের অধিকারীরা চোখের নিচের অংশে কাজল না দিলেই ভালো।
♦ চোখের নিচে কাজল মোটা ও গাঢ় দেখাতে চাইলে একই রঙের শেড দিয়ে কাজল ব্লেন্ড করে নিন।
♦ পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে কাজল না লাগালেই ভালো লাগবে দেখতে।
অনেক সময় জমকালো দাওয়াতেও চোখের হালকা সাজ মানিয়ে যায়। আবার সকালেই কেউ হয়তো কাজলটা একটু গাঢ় করে দিয়ে বের হয়ে যান। চোখের সাজের সঙ্গে মিলিয়ে বাকি মেকআপ করতে হবে। নিজের জন্য, নিজের ভালো লাগাটুকুই প্রকাশ পাক কাজলকালো চোখের সাজে।