কালো হরিণ চোখ শুধু কবিতা বা প্রেমিকের উপমায় নয় সত্যি সত্যি আপনারও হতে পারে। ভাবছেন কীভাবে? আপনার চোখের পাপড়ি ঘন যতবেশি হবে আপনার চোখকে ততবেশি কালো ও আকর্ষণীয় লাগবে। চোখের পাপড়ি যত দীর্ঘ হয় তত এটা বাঁকানো থাকে আর আপনার চোখকে ততই মায়াময় করে তোলে। আবার চোখের পাপড়ি কম থাকার কারণে আপনার পটল চেরা চোখের সৌন্দর্য ঢাকা পড়ে যাবে। মনে হবে সাপের চোখ যাতে পাপড়ি থাকে না।
চোখের সাজের মাঝে চোখের পাপড়ি বা আইল্যাশও রয়েছে।
চমৎকার ক্যাটস আই এঁকে আইলাইনার দেওয়ার পর যদি সঠিকভাবে মাশকারা ব্যবহার করা না হয়, তবে চোখের সাজটিই নষ্ট হয়ে যায়। চোখের পাপড়ি সাজানো ও তার যত্নের জন্য চারটি বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
ল্যাশ প্রাইমারের ব্যবহার
অনেক সময় মুখে মেকআপ বা ফাউন্ডেশন বসানোর আগে প্রাইমার ব্যবহার করা হয়। সে অভ্যাস চোখের ক্ষেত্রেও রাখার চেষ্টা করতে হবে। চোখে মাশকারা ব্যবহারের আগে চোখের পাপড়িতে প্রাইমার ব্যবহার করতে হবে। এতে চোখের পাপড়ি স্বাস্থ্যকর থাকার পাশাপাশি মাশকারা দীর্ঘ সময় ভালো থাকবে।
সঠিক মাশকারা নির্বাচন
নানা ধরনের মাশকারার মাঝে নিজের চোখ ও চোখের পাপড়ির জন্য সঠিক মাশকারাটি নির্বাচন করা প্রয়োজন। তবে মাশকারা কেনার আগে অবশ্যই কিছু জিনিস দেখে নিতে হবে। যে সব মাশকারায় নাইলন বা রেয়ন ফাইবার থাকে, সেগুলো ল্যাশ এর দৈর্ঘ্য বাড়ায়। একই সাথে অনেক মাশকারার সাথে প্রাইমার বা কন্ডিশনার যুক্ত থাকে। এ মাশকারাগুলো চোখের পাপড়ির জন্য ভালো।
কন্ডিশনার ব্যবহার
চুল ভালো রাখার জন্য যেমন কন্ডিশনার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনিভাবে চোখের আইল্যাশ এর ক্ষেত্রেও কন্ডিশনার ব্যবহার করা প্রয়োজন। এটা চোখের পাপড়িকে ভালো রাখতে এবং এর ভলিউম বাড়াতে কাজ করে। যদি সকালে মাশকারা ব্যবহার করা হয়, তবে রাতে কন্ডিশনার ট্রিটমেন্ট নিতে হবে।
গ্রোথ সিরাম ব্যবহার
বর্তমানে চোখের পাপড়ির সঠিক বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যকর চোখের পাপড়ির বৃদ্ধিতে ল্যাশ গ্রোথ সিরাম কিনতে পাওয়া যায়। যার মধ্যে বেশ কিছু অনুমোদিত সিরাম রয়েছে। তবে এই সকল সিরাম কেনা ও ব্যবহারের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে।