বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট এন্ড হসপিটাল ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই হাসপাতালটিতে চক্ষু বিষয়ক বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
ঠিকানা ও যোগাযোগ :
ফার্মগেট, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা – ১২১৫।
ফোন: ৮১১২৮৫৬, ৯১১৯৩১৫; ই-মেইল:
eih1960@yahoo.com ।
অবস্থান:
ফার্মগেট কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে ৫০ গজ দক্ষিণ দিকে ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট এন্ড হসপিটালটি অবস্থিত। এই ইনস্টিটিউট ভবনটি ৩ তলা বিশিষ্ট। ভবনের এক ফ্লোর থেকে অন্য ফ্লোরে যাতায়াতের জন্য রয়েছে সিঁড়ি এবং ১ টি লিফট। লিফটটি ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। ভবনের ৩য় তলায় অপারেশন থিয়েটারটি অবস্থিত।
অনুসন্ধান ডেস্ক, অ্যাম্বুলেন্স:
হাসপাতালে চিকিৎসা প্রার্থী রোগীদের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহে একটি অনুসন্ধান ডেস্ক রয়েছে এই হাসপাতালে। মূল গেট দিয়ে ঢুকে হাসপাতালের নিচতলায় এটির অবস্থান। যোগাযোগ: ৮১১২৮৫৬, ৯১১৯৩১৫।
এই হাসপাতালে শুধুমাত্র চক্ষু রোগের চিকিৎসা করা হয়। চক্ষু রোগীরা এখানে ভর্তি হতে চাইলে প্রথমে অনুসন্ধান ডেস্কে গিয়ে যাবতীয় দিক নির্দেশনা নিতে হবে। তারপর ১৬ নং কাউন্টার থেকে ২০ টাকা মূল্যের টিকেট কেটে বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখাতে হয়। ডাক্তার রোগীর চোখ পরীক্ষা করার পর রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন তাহলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভর্তির জন্য আলাদা কোন ফি দিতে হয় না।
বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা:
হাসপাতালটিতে দুই ধরনের আউটডোর ব্যবস্থা আছে, একটি সাধারণ আউটডোর অন্যটি প্রাইভেট আউটডোর। সাধারণ আউটডোরের টিকেটের মূল্য ২০ টাকা আর প্রাইভেট আউটডোরের টিকেটের মূল্য ৫০০ টাকা। তুলনামূলকভাবে জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকগণ প্রাইভেট আউটডোরে রোগী দেখেন আর রোগী নিজেই ঠিক করতে পারেন কোন চিকিৎসককে তিনি দেখাবেন। প্রাইভেট আউটডোর পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং তুলনামূলকভাবে কম ভিড় থাকে সেখানে। প্রাইভেট হোক আর সাধারণ আউটডোর হোক একটি ফরম বাংলা বা ইংরেজিতে পূরণ করে টিকেটের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে। ফরমটি বিনামূল্যে পাওয়া যায় আর রোগীকে ফরমে সাক্ষর করতে হয়। এখানে মোট ৭টি বিভাগ রয়েছে। এগুলো হলো – 1. General ophthalmic service, 2. Refractive error, 3. Amblyopia, 4. Squint, 5. Cataract, 6. Injury, 7. শিশু চক্ষু রোগ।
ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের ফার্মগেটের চিকিৎসকের তালিকা :
প্রফেসর ডাঃ. সারোয়ার আলম
চক্ষু বিশেষজ্ঞ, কর্নিয়া ও ছানি সার্জন
ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক
ভিট্রিও- রেটিনা এবং ফ্যাকো আইওএল মাইক্রোসার্জারি বিশেষজ্ঞ
ডাঃ নাজমুন নাহার
ভিট্রিও রেটিনা, চক্ষু ট্রমা এবং ছানি সার্জারি বিশেষজ্ঞ
ডাঃ মুনতাকিম শহীদ
ছানি, কর্নিয়া এবং পূর্ববর্তী বিভাগ বিশেষজ্ঞ
ডাঃ চন্দনা সুলতানা
চক্ষু, কর্নিয়া, সামনের অংশ এবং ছানি বিশেষজ্ঞ
ডাঃ এএসএম মঈন উদ্দিন
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন
ডাঃ মোহাম্মদ রাশেদ আলম
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন
প্রফেসর ডাঃ এএসএম কামাল উদ্দিন
ফাকো, গ্লুকোমা এবং মেডিকেল রেটিনা বিশেষজ্ঞ
ডাঃ মোঃ মোস্তফা হোসেন
শিশু চক্ষু বিশেষজ্ঞ
ডাঃ আহমদ জহির বিন জিয়া
ছানি এবং ব্যাপক চক্ষু বিশেষজ্ঞ
অপারেশন, অপারেশন চার্জ:
এছাড়াও রয়েছে জরুরী অপারেশনের ব্যবস্থা । চোখের ছানি অপারেশন সহ চোখের যাবতীয় জটিল অপারেশন এখানে সম্পন্ন হয়ে থাকে। রোগের মাত্রা ও ডাক্তারদের ওপর নির্ভর করে অপারেশন চার্জ নির্ধারিত হয়।
এখানে যেসব অপারেশন করা হয়, সেসব অপারেশনের খরচ:
ছানি অপারেশন ২০,০০০/-
ডিসিআর অপারেশন ৮,০০০/-
কর্ণিয়া অপারেশন ৯,০০০/
রেটিনা অপারেশন ১২,০০০/-
অরবিট অপারেশন ১০,০০০
ট্রমা অপারেশন ৭,০০০/-
নেত্রনালী অপারেশন ৩,০০০/-
টেস্ট সুবিধা :
চক্ষু রোগের যাবতীয় টেস্ট এখানে সম্পন্ন হয়ে থাকে। রোগের মাত্রার উপর খরচের পরিমাণ নির্ভর করে। রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী এই হাসপাতালে রয়েছে চোখের যাবতীয় রোগের টেস্ট করার সুবিধা। টেস্টের নাম ও খরচ-
প্রিল্যাসিক ৩,০০০/-
সেক ৩০/-
হামপ্রে ১,২০০/-
সি.ই.সি ৩,০০০/-
এফ.এফ.এ ৩,০০০/-
ই.সি.জি ৬১০/-
গ্রেট ৮০০/-
সি.সি.টি ৬৫০/-
ব্লাড ২৬০/-
ও.সি.টি ৫৫০/
ইউরিন ২২০/-।
কেবিন, ওয়ার্ড :
২১৬ শয্যার এই হাসপাতালে মোট কেবিন রয়েছে ১৬টি এবং ওয়ার্ড এর সংখ্যা ১০টি। কেবিন ভাড়া ১,০০০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত, ভি.আই.পি কেবিনের ভাড়া ২,৫০০ টাকা। ওয়ার্ডে প্রথম ৩ দিন ভাড়া দিতে হয় না। তিন দিন পর থেকে ওয়ার্ডভেদে ১৪৫ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া দিতে হয়। কেবিন/ওয়ার্ডে সিট পাওয়ার জন্য অনুসন্ধান ডেস্কে যোগাযোগ করতে হয়। রোগী ভর্তির পর যে ওয়ার্ড বা কেবিনে সিট খালি থাকে সেখানে রোগীকে পাঠানো হয়। জরুরী প্রয়োজনে সিট পাওয়া না গেলে হাসপাতালের ফ্লোরে রোগীকে রাখা হয়। পরবর্তীতে সিট খালি হলে সিটে পাঠিয়ে দেয়া হয।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স/ ব্রাদার :
স্থায় ও অস্থায়ী ডাক্তার মিলে মোট ১৫ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছে এই হাসপাতালে। যারা ৭টি চেম্বারে রোগী দেখেন। রোগীদের সঠিক পরিচর্যার জন্য এখানে ৭৫ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং ২৫ জন অপ্রশিক্ষিত নার্স রয়েছে।
ঔষধের দোকান, ব্লাড ব্যাংক :
হাসপাতালের নিচে দক্ষিণে হাসপাতালের নিজস্ব ঔষধের দোকান রয়েছে। সকাল ৮.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬.৩০ টা পর্যন্ত এসব দোকান খোলা থাকে। তবে চশমা বিভাগ খোলা থাকে সকাল ৮.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭.৩০ টা পর্যন্ত।
লাশ গ্রহণের প্রক্রিয়া :
রোগীর মৃত্যুর পর হাসপাতালের যাবতীয় বিল পরিশোধ করে বিলের রশিদ দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ গ্রহণ করতে হয়।
অগ্নি-নির্বাপন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং :
অগ্নি নির্বাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে এই হাসপাতালে। হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষিত লোকবল। হাসপাতালের পিছনে প্রায় ৩০টি গাড়ী পার্কিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। গাড়ী পার্কিং এর জন্য আলাদা কোন চার্জ দিতে হয় না।
ক্যান্টিন, অভিযোগ বক্স, লিফট :
হাসপাতালে আগত জনসাধারণের খাওয়া-দাওয়ার জন্য হাসপাতালের পিছনে একটি ক্যান্টিন আছে। রোগীদের অভিযোগ মূল্যায়নের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি অভিযোগ বক্স রেখেছেন। কোন অভিযোগ থাকলে লিখিতভাবে অভিযোগ বক্সে ফেলতে হয়।