গবেষণাটির সহলেখক অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোচিকিৎসার ফেলো ম্যাক্সিম টাকুয়েট বলেন, ‘আমাদের গবেষণার ফলাফল এই ইঙ্গিত দেয় যে ফ্লু বা অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের চেয়ে করোনার পর মস্তিষ্কের রোগ ও মানসিক সমস্যা বেশি দেখা যায়।’
সংক্রমণের ছয় মাস পার হওয়ার পর আক্রান্তের ক্ষেত্রে কী ঘটে, তা এখন দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেন ম্যাক্সিম। গবেষকেরা বলছেন, করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় কীভাবে সহায়তা করা যেতে পারে, তার ক্ষেত্রে এ গবেষণা ভূমিকা রাখবে। গবেষণাটির পরিসর ছিল বেশ বড়। ২ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি করোনা রোগীর ইলেকট্রনিক স্বাস্থ্যগত তথ্য এ গবেষণায় বিশ্লেষণ করা হয়।
যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা যুক্তরাষ্ট্রের ৫ লাখের বেশি রোগীর মেডিকেল তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। এই রোগীদের ক্ষেত্রে তারা কয়েকটি সমস্যা দেখতে পেয়েছেন: মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, স্ট্রোক, পার্কিনসন, স্মৃতিভ্রংশ, গুলেন-বারি সিন্ড্রোম, সাইকোসিস, মুড ডিজঅর্ডার এবং উত্তেজনা।
গবেষকেরা দেখতে পান, ফ্লু থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের চেয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের স্নায়বিক ও মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকি ৪৪ শতাংশ বেশি। করোনায় সংক্রমিত হওয়া ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের সমস্যার দিকটি উঠে আসায় গবেষণাটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব নটিংহামের মনোরোগবিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক মুসা সামি।
সূত্র: অর্থসূচক, বাঙ্গিনিউস