তাপমাত্রার পারদ যত বাড়ছে ততই তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। আর গরম মানেই অনেকের প্রধান সমস্যা ঘামাচি। অনেকের শরীরে ঢেকে রাখা অংশের পাশাপাশি শরীরের খোলা জায়গায়ও প্রচুর ঘামাচি ওঠে। এই সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে অনেকেই বাজার চলতি পাউডার বা লোশন ব্যবহার করে থাকেন।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন অন্য কথা। ঘামাচির সমস্যা থেকে বিরত থাকতে চাইলে সবচেয়ে আগে যা জরুরি তা হলো- নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। ঘামাচির হাত থেকে বাঁচতে পাউডার মাখলেও পরদিন অবশ্যই শরীরের ওই অংশ ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। কারণ, পাউডার ত্বকের লোমকূপ ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ধুয়ে না ফেললে সমস্যা বাড়বে। অন্যদিকে, ব্রণ, ফুসকুড়িসহ আরও নানা সমস্যা মাথা চাড়া দিতে পারে।
এবার জেনে নিন ঘামাচির হাত থেকে মুক্তির কয়েকটি সহজ উপায়-
১) গরমকালে ঘাম হবেই। তবে কিছুক্ষণ পর পর এই ঘাম মুছে ফেলার চেষ্টা করুন। তবে ঘাম মোছার সময় অতিরিক্ত চাপ দিয়ে মুছবেন না। আর সবসময় পরিস্কার নরম রুমাল ব্যবহার করুন।
২) দিনে দুবার গোসল করুন। গোসল করার সময় কম ক্ষারযু্ক্ত সাবান ব্যবহার করুন। যে অংশে ঘামাচি হয়েছে সেখানে সাবান বেশি ঘষবেন না। ধীরে ধীরে অল্প স্ক্রাব করুন।
৩) গোসলের পানিতে কোনও অ্যান্টি-সেপটিক লোশান ব্যবহার করুন। তা ছাড়াও গোসলের পানির বালতিতে লেবুর রস, নিম পাতার রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে ত্বক ফ্রেশ থাকবে এবং জীবাণু কম হবে।
৪) গরমকালে টাইট পোশাক না পরে হালকা রঙের ঢিলে পোশাক পড়ুন। বেশি ডার্ক রঙের জামাকাপড় পরবেন না।
৫) ঘামাচি হলে একদম চুলকাবেন না। অ্যালোভেরার রস, নিম পাতার রস, পাতিলেবুর রস পানিতে মিশিয়ে পাতলা করে নিয়ে লাগাতে পারেন। এতে উপকার মিলবে।
৬) পাউডার ব্যবহার করবেন না। এতে লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে।
৭) গরমকালে প্রচুর পরিমাণে পানি খান।
৮) খাবার পাতে রাখুন প্রচুর ফল আর শাক-সবজি।