লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ১৯৯৯ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। লিভার রোগের প্রতিরোধ, চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণাকল্পে বাংলাদেশে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এখানে বহির্বিভাগ এবং রোগী ভর্তি রেখেও চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি ভাইরাল হেপাটাইটিসের উপর বিশেষ জোর দিয়ে যকৃতের রোগ প্রতিরোধ, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য নিবেদিত। ফাউন্ডেশনটি শুরু থেকেই ওয়ার্ল্ড হেপাটাইটিস অ্যালায়েন্স (WHA), জেনেভা-এর সদস্য।
ফাউন্ডেশনটি বাংলাদেশে অসংক্রামক লিভারের রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এটি এনসিডি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের জন্য বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের সদস্য ।
অবস্থান:
পান্থপথ সিগনালের ৫০ গজ উত্তর দিকে লিভার ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ভবনের ৩য় তলায় অবস্থিত লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ অবস্থিত।
ঠিকানা :
লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ
১৫০, গ্রীনরোড, পান্থপথ, (৩য় তলা),
ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ।
ফোন নম্বর: ৯১৪৬৫৩৭, ০১৭৩২৯৯৯৯২২
ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও দৃষ্টি :
যকৃতের সকল প্রকার রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। দরিদ্রদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে এবং বিনামূল্যে যকৃতের রোগের চিকিৎসার সুবিধা তৈরি করা। ভাইরাল হেপাটাইটিস এবং অন্যান্য যকৃতের রোগের বিষয়ে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাগুলির সাথে ওকালতি এবং সমন্বয় করা। বাংলাদেশে লিভার রোগ প্রতিরোধ, চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য একটি উৎকর্ষ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা। লিভারের রোগে আক্রান্ত রোগীদের দুর্ভোগ কমাতে। রোগের বোঝা একটি নগণ্য স্তরে হ্রাস করুন এবং সবার জন্য চিকিত্সা নিশ্চিত করুন। বাংলাদেশে ভাইরাল হেপাটাইটিস নির্মূল করাই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য।
সুবিধাগুলো :
বিনামূল্যে লিভার রোগের সঠিক পরামর্শ।
প্রতি শুক্রবার বিনামূল্যে লিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।
লিভার রোগের সবধরনের ল্যারেটরী ও ইমেজিং পরীক্ষার সুবিধা।
হেপাটাইটিস বি এর ভ্যাকসিন পাওয়া যায়।
৩০ টাকায় রেজিষ্ট্রেশন করলে স্বপরিবারে বিনামূল্যে হেপাটাইটিস-বি পরীক্ষা করার সুবিধা রয়েছে।
লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ যেভাবে কাজ করে :
তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে NOhep প্রচারণা। “NOhep নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ” তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে দেশের ৬৪টি জেলায় প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির অভিযান। নোহেপ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে তাড়াচ্ছে। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে নির্ণয় না করা ভাইরাল হেপাটাইটিস রোগীদের সনাক্ত করার জন্য “নিখোঁজ মিলিয়ন খুঁজুন” প্রচারাভিযান। ফাউন্ডেশন ভাইরাল হেপাটাইটিস সম্পর্কে কলঙ্ক এবং বৈষম্য, মিথ এবং ভুল ধারণার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। সুবিধাবঞ্চিত তরুণ ভাইরাল হেপাটাইটিস রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান। সচেতনতামূলক কর্মসূচির বিকেন্দ্রীকরণের জন্য আঞ্চলিক হেপাটাইটিস দিবসের আয়োজন করুন। প্রথম বাংলা হেপাটাইটিস সচেতনতা অ্যাপস চালু করেছে (হেপাটাইটিস: জানুন এবং ভাল থাকুন) হেপাটাইটিস জানুন এবং ভাল থাকুন। সরকারি শিশু হোমের এতিম শিশুদের বিনামূল্যে হেপাটাইটিস বি স্ক্রীনিং এবং টিকাদান পরিচালনা করে। হেপাটাইটিস বি এবং সি রোগীদের সম্মেলন পরিচালনা করে। হেপাটাইটিস বি এবং সি দ্বারা আক্রান্ত সুবিধাবঞ্চিত যুবক এবং শিশুদের চিকিত্সার জন্য জাকাত তহবিল তৈরি করা হয়। গর্ভবতী মহিলার বিনামূল্যে হেপাটাইটিস বি এবং সি স্ক্রীনিং এবং হেপাটাইটিস বি পজিটিভ মায়েদের নবজাতকদের হেপাটাইটিস বি ইমিউনোগ্লোবুলিন এবং টিকা প্রদান করে। বিভাগীয় সদরে লিভারের রোগের জন্য হাসপাতাল তৈরি করা,
ডাক্তার :
এখানে সর্বমোট ১৫ জন ডাক্তার রয়েছেন।
স্থায়ী ডাক্তার ৫ জন এবং অস্থায়ী ডাক্তার ১০ জন।
ডাক্তাররা ১ টি শিফট বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত রোগী দেখে থাকেন।
ডাক্তাররা হলেন
অধ্যাপক মোঃ আনিসুর রহমান
এমবিবিএস, এফসিপিএস
থ্যারাপুটিক এনডোসকপি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত (জাপান)
ইনটারভেন্সনাল গ্যাষ্ট্রোএন্টারোলজী ও লিভার বিশেষজ্ঞ।
ডাঃ মোঃ মহসিন কবির
এমবিবিএস, এমডি (গ্যাষ্ট্রো)
থ্যারাপুটিক এনডোসকপি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত (জাপান)
গ্যাষ্ট্রোএন্টারোলজী ও হেপাটোলজী বিশেষজ্ঞ।
ফারহানা মোছলেহ উদ্দিন
এমবিবিএস (ডিএমসি), বিসিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন)
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
ডাঃ হাসিম রাব্বি
এমবিবিএস (ঢাকা), এমআরসিএস (এডিন, যুক্তরাজ্য), এমআরসিপিএস (গ্লাসগো),
ফেলো সার্জিক্যাল গ্যাষ্ট্রোএন্টারলজী, হেপটা-বিলিয়ারী- প্যানক্রিয়াটিক সার্জারী ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট
(ইন্ডিয়া), হেপাটা-বিলিয়ারী-প্যানক্রিয়াটিক সার্জন
অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী
এমবিবিএস, এফসিপিএস, এফআরসিএস (এডিন) এফএসিএস
ফেলো হেপাটা বিলিয়ারী প্যানক্রিয়াটিক সার্জারী ও লিভার ট্রান্সপস্নান্ট (অস্ট্রেলিয়া)
হেপাটা-বিলিয়ারী-প্যানক্রিয়াটিক সার্জারী ও লিভার ট্রান্সপস্নান্ট বিশেষজ্ঞ
ডাঃ এইচ এ নাজমুল হাকীম
এমবিবিএস (ডিএমসি), এফসিপিএস (সার্জারী)
জেনারেল ও ল্যাপারস্কপিক সার্জন
অধ্যাপক এম এ মাসুদ
এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (গ্যাস্ট্রো), এমএসিজি (সুইডেন)
গ্যাষ্ট্রোএন্টারোলজী বিশেষজ্ঞ
ফাতেমা সুলতানা
বি.এসসি (র্অনাস), এম.এসসি (খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান) ডাবল ফাস্টক্লাস
বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদ
এইচ.এ. নাজমুল হাকীম (শাহীন)
এম.বি.বি.এস (ডিএমসি), এফসিপিএস (সার্জারী)
টেষ্ট ও খরচ :
ল্যাব সারা দিনই খোলা থাকে।
প্রতিটি টেষ্টে ৩০% কম রাখা হয়।
সিবিসি – ২৪০ টাকা।
লিপিড প্রোফাইল – ৭,০০০ টাকা।
এইচভিবি-ডিএনএ- ৬,৩০০ টাকা।
এইচসিবি-আরএনএ- ৬,৩০০ টাকা।
আলট্রাসনোগ্রাম- ৭০০ টাকা
বিবিধ :
এখানে ৪ জন নার্স ও ২ জন ব্রাদার। এরা সবাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
গরীব রোগীদের বিশেষ সুবিধা হিসেবে ফ্রী চিকিৎসা করা হয়।
অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সিট ও লোকবল রয়েছে।