শরীরে যদি অস্বাভাবিক মাত্রায় ফ্যাট জমে তবে ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ, হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা ছাড়াও হরেক রকম শারীরিক জটিলতা জন্ম নেয়৷ খাবারের মাধ্যমে যে ক্যালরি গ্রহণ করা হয়, শরীর যদি তারচেয়ে কম ক্যালরি খরচ করে তবেই বাড়তি ফ্যাট জমতে শুরু করে৷ অতিরিক্ত ক্যালরি চর্বি জমিয়ে ওজন বাড়ায়৷
আর এ বাড়তি ওজন কমাতে কোন ব্যায়াম কি পরিমান ক্যালরি ঝরে তা আমাদের জানা প্রয়োজন ।
দৌড়: জিমে যদি না-ও যান, বাড়ির সামনে কোনো পার্ক বা মাঠ থাকলে চেষ্টা করুন সেখানে কয়েক পাক দৌড়ে আসতে। এমন গতিতে ছুটবেন, যাতে শরীরে ঘাম হয়। ছুটোছুটিতে পায়ের পেশী সচল থাকার সঙ্গে শরীরে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে। মেদও ঝরে খুব সহজে। ২০ মিনিট দৌড়ালে প্রায় ২৫০-২৬০ ক্যালোরি পোড়ে।
সিঁড়ি ভাঙুন: খুব দরকার না পড়লে এড়িয়ে চলুন লিফট। নিয়ম করে গতি বাড়ান সিঁড়ি ভাঙার। কখনো ধীর থেকে দ্রুত, কখনো বা দ্রুততর থেকে ধীর লয়ে ভাঙুন সিঁড়ি। প্রতি দশ মিনিটে শরীরের প্রায় ১৫০ ক্যালোরি ধরাতে পারবেন এই সহজ উপায়েই। এতে কুঁচকি, কোমর ও জঙ্ঘার পেশী পরিশ্রম করে। শরীরের অতিরিক্ত ওজন হ্রাস পায়।
সাইকেল চালানো: এই কাজ কম-বেশি অনেকেই করেন। আপনি শুরু করুন রুটিন মেনে। দিনের মধ্যে কিছু ক্ষণ সাইকেলের প্যাডেলে চাপ দিন। জোরে সাইক্লিং করে ঘুরে আসুন খানিকটা। ১৫ মিনিট সাইকেল চালালে প্রায় ১৫০-২০০ ক্যালোরি ঝরাতে পারেন। কোমরের আকার ধরে রাখতে ও এই অঞ্চলের চর্বি ঝরাতে এর জুড়ি নেই।
স্কিপিং: ছেলেবেলার অভ্যাস ঝালিয়ে নিতে পারেন। দিনে কিছু ক্ষণ সময় কাটান লাফদড়ির সঙ্গে। দম তো বাড়বেই, সঙ্গে লাফালাফিতে সরে যাবে অতিরিক্ত মেদও। ১৫ মিনিট স্কিপিংয়ে ঝরাতে পারেন মোটামুটি ৪০০ ক্যালোরি।
সাঁতার: সবচেয়ে উপকারী ব্যায়ামের মধ্যে অন্যতম হলো সাঁতার। এই ব্যায়ামে শরীরের বেশির ভাগ পেশীর নড়াচড়া হয়। পিঠ, পেট ও কোমরের মেদ ঝরাতে এটির ভূমিকা অনেক। তাই সময় পেলেই নেমে পড়ুন জলে। আধ ঘণ্টার সাঁতারে প্রায় ৪০০ ক্যালোরি পোড়ে।
জগিং: দৌড়নোর মাঝে মাঝেই গতি কমিয়ে জগিং শুরু করুন। মনে মনে হিসাব রাখুন কত পা জগিং করলেন। ধীরে ধীরে জগিংয়ের সময় বাড়ান। পা, কোমর, জঙ্ঘার মেদ কমাতে জগিং অন্যতম সেরা উপায়। ২০ মিনিট জগিংয়ে ঝরে প্রায় ২৫০ ক্যালোরি।
ফুটবল :ফ্যামিলি ফান ফুটবল খেললে ১৭৩ ক্যালরি, প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ৩৩৫ ক্যালরি শরীর থেকে ঝরে যায় ৷
যোগব্যায়াম : যোগব্যায়াম কিংবা স্ট্রেচিং করলে ১০৩ ক্যালরি খরচ হয়ে থাকে ৷