রোজ ডিম খাওয়ার উপদেশ তো কত জনেই দেয়। কিন্তু একই ধাঁচের রান্না রোজ রোজ খাওয়া যায় কি? খাবারের একঘেয়েমি কাটাতে এ বার ডিম দিয়েই বানিয়ে ফেলা যায় চটজল্দি স্যালাড। প্রাতরাশে ডিম খাওয়ার চল যদিও সব দেশেই যথেষ্ট। তবে দিনের যে কোনও সময়ে ডিমের স্যালাড ভরপুর খাবার হিসেবে কাজ করতে পারে। দিনের শুরুতে অন্তত একটা ডিম খেলে যেমন প্রয়োজনীয় পুষ্টি যাবে শরীরে, তেমন সহজেই খাবার হয় মুখরোচক। বাচ্চা থেকে বুড়ো কম বেশি সকলেরই পছন্দের খাবারের তালিকাতে রয়েছে ডিমের নাম। ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আর এটাই অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সহায়তা করে। সকালের নাস্তায় ডিম খাওয়ার চল যদিও সব দেশেই যথেষ্ট। তবে দিনের যে কোনও সময়ে ডিমের স্যালাড ভরপুর খাবার হিসেবে কাজ করতে পারে। দিনের শুরুতে অন্তত একটা ডিম খেলে যেমন প্রয়োজনীয় পুষ্টি যাবে শরীরে, তেমন সহজেই খাবার হয় মুখরোচক। এই স্যালাডটি কাঁচা নয়। একটু রান্না করতে হয়। ডিমের সঙ্গে এতে প্রাধান্য পায় বিনসের বীজ। অর্থাত্, এই স্যালাডের দু'টি উপকরণই প্রোটিনে ভরপুর। তাই এতে যেমন শরীরের পুষ্টির ব্যবস্থা হবে, তেমনই পেট ভরা থাকবে অনেকটা সময় পর্যন্ত। স্যানডুইচ স্যালাড বেশির ভাগ সময় বাচ্চারা টিফিন খেতে চায় না। টিফিনে স্যানডুইচ বা অন্য কিছু দিলেও তাদের মুখে রোচে না। এক্ষেত্রে স্যানডুইচের মধ্যে ডিমের ব্যবহার আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারে। ওজন কমায়: সকালবেলা নাস্তায় খান ডিমের স্যালাড। এটা যেমন স্বাস্থ্যকর, তেমনই অনেকক্ষণ পেট ভর্তিও রাখে। আর যাঁরা একটু বেশি শরীর সচেতন, খেয়াল রাখেন নিজের ওজনের ওপরে তাঁদের জন্য এটা একেবারে পার্ফেক্ট। ডিম স্যালাড একেবারে দেশীয় স্টাইলে বানানো এই ডিমের স্যালাডের চাহিদা রয়েছে। মূলত সেদ্ধ ডিম দিয়েই স্যালাড বানানো হয়। অ্যাভোকাডো ডিম স্যালাড: দেশীয় ডিম স্যালাড একেবারে দেশীয় স্টাইলে বানানো এই ডিমের স্যালাডের চাহিদা রয়েছে। মূলত সেদ্ধ ডিম দিয়েই স্যালাড বানানো হয়। অ্যাভোকাডো ডিম স্যালাড এমনিতেই অ্যাভোকাডোকে পুষ্টির পাওয়ার হাউস বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে। এটা এমনিতেই রোগ কমাতে সাহায্য করে, আর এর সঙ্গে ডিম যেন বাড়তি স্বাদ যোগ করে। স্যালাড বানাতে হবে তিনটি ধাপে: ১) একটি পাত্রে পানি গরম করতে হবে। ফুটে গেলে, আঁচ কমিয়ে ডিম দিতে হবে জলে। মিনিট পাঁচেক ধরে সেদ্ধ হবে ডিম। গ্যাস বন্ধ করে, পাত্রের গরম পানি ফেলে তাতে ঢালতে হবে ঠান্ডা পানি। ডিম একটু ঠান্ডা হলে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে, সমান দু’টি ভাগে কেটে ফেলতে হবে। এরই মাঝে তিন চামুচ গরম পানি সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে এক চা চামুচ পাতি লেবুর রস। ২) অল্প পেঁয়াজ এবং কয়েক কোয়া রসুন কুচিয়ে রাখতে হবে। একটি পাত্রে এক চামুচ তেল গরম করে তাতে ভেজে নিতে হবে পেঁয়াজ আর রসুন। কম আঁচেই করতে হবে সেই রান্না। তাতে অল্প নরম হয়ে যাবে পেঁয়াজ-রসুন। একটু নাড়াচাড়ার পরে কয়েক দানা জিরে দিতে হবে গরম তেলে। মিনিট দুই পরে তাতেই বিনসের বীজ দিয়ে দেওয়া যায়। কিছু ক্ষণ অল্প আঁচে রেখে দিলে নরম হয়ে যাবে সবটাই। তখন হাতা দিয়ে ধীরে ধীরে পিষে দিতে হবে মিশ্রণটি। এর কিছু ক্ষণের মধ্যে রান্নাটি থকথকে ভাব নেবে। তখনই তার উপর দিয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে লেবুর রস। ৩) গ্যাস থেকে নামিয়ে একটি প্লেটে ঢালতে হবে রান্না। তার উপরে ডিমের টুকরো দু’টি বসাতে হবে। স্যালাডটা সাজাতে টোম্যাটো আর কাঁচা মরিচ কুচি ছড়িয়ে দেওয়া যায় উপর দিয়ে। এই রান্নায় যেমন সময় লাগে কম, তেমন পেটও ভরে যথেষ্ট

বাড়িতেই অত্যন্ত সহজ উপায়ে দ্রুত বানিয়ে ফেলুন মুখরোচক ডিম সালাদ
previous post