প্রচণ্ড গরমে একগ্লাস ডাবের পানি এনে দিতে পারে প্রশান্তি। গরমে সমস্ত ক্লান্তি, অবসাদ দূর করতে ডাবের পানি বেশ কার্যকরী। এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। তেষ্টা মেটাতে অনেকে বাইরে থেকে বিভিন্ন ধরনের পানীয় কিনে পান করে থাকেন। কিন্তু বাজারে যেসব পানীয় পাওয়া যায় তার প্রায় সবই ক্ষতিকর। সেসব পানীয় পান করলে উপকার তো মিলবেই না, বরং ক্ষতি ডেকে আনবে।
এদিকে ডাব সব সময়ে সহজলভ্য হয় না। অনেক সময় দামও থাকে দাম অনেকটা বেশি। তাই বলে কি ডাব খাবেন না? পদ্ধতি জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে ডাবের পানি তৈরি করতে পারবেন। এই গরমে প্রাণ জুড়াতে যার জুড়ি নেই। ভাবছেন, বাড়িতে কী করে ডাবের পানি তৈরি করবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সহজ উপায়-
প্রথমে এমন একটি ডাব নিন যার ভেতরের পানি খাওয়া হয়ে গেছে কিন্তু শাঁস আছে। এবার ডাবটি কেটে সেই শাঁস বের করে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিতে হবে।
টুকরা করে কেটে নেওয়া ডাবের শাঁসের সঙ্গে মেশাতে হবে পানি। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন, কতটুকু পানি মেশাতে হবে? এক্ষেত্রে আপনি যতটুকু ডাবের শাঁস নেবেন, তার ঠিক চার গুণ পানি মেশাতে হবে। যদি একাধিক ডাবের শাঁস নিয়ে থাকেন তবে একই অনুপাতে পানি মেশাতে হবে।
ডাবের শাঁস ও পানি নেওয়া হয়ে গেলে ভালোভাবে মেশাতে হবে। সেজন্য মিক্সার গ্রাইন্ডার বা ব্লেন্ডার দরকার। এই যন্ত্রের সাহায্যে খুব ভালোভাবে ডাবের শাঁস ও পানি মিশিয়ে নিন।
এবার যে পাত্রে পানীয়টি ঢালবেন তার মুখে একটি ছাঁকনি বসান। তারপর ব্লেন্ড করা পানীয়টি সেই ছাঁকনিতে ঢালতে হবে।
পানীয়টি ভালোভাবে ছেঁকে নিন। এতে শাঁসের ছিবড়ে অংশ আলাদা হয়ে যাবে। পরিষ্কার পানীয় জমা হবে পাত্রে। আপনি চাইলে এতে সামান্য লবণ মেশাতে পারেন। না চাইলে লবণের বিষয়টি বাদ দেবেন।
যদি মনে করেন, পানীয়টি আরেকটু পাতলা করা দরকার তবে আরও কিছুটা পানি মেশাতে পারেন। প্রথমে পানীয়টি একটি বোতলে ঢেলে তারপর বাড়তি পানি যোগ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বাড়তি পানি যোগ করার পর বোতলের মুখ বন্ধ করে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নেবেন।
এই পানীয়র স্বাদ আরও বাড়াতে চাইলে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে তবেই পান করুন। চাইলে বরফ মিশিয়েও পান করতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখবেন, তীব্র গরমে খুব বেশি ঠান্ডা খাবার খাবেন না। এতে গরম-ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়ার ভয় থাকে।