শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা আজ। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব বা বোধিলাভ এবং মহাপরিনির্বাণের (মৃত্যু) স্মৃতিবিজড়িত ও ঘটনাবহুল দিবস এটি।
চাঁদের হিসাব বলছে, আজ বুধবার (২৬ মে) সেই বুদ্ধ পূর্ণিমা। এখন থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে বৈশাখের এমনই পূর্ণিমা তিথিতে নেপালের লুম্বিনী কাননে রাজা শুদ্ধোদন ও রানি মায়াদেবীর গৃহে জন্ম হয়েছিল এক শিশুর। সিদ্ধি লাভ করবেন— এমন ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়ে সাধকেরা তার নাম দেন সিদ্ধার্থ।
৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এই দিনে বুদ্ধদেব সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন এবং ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এই দিনে তিনি মহানির্বাণ লাভ করেন। তাই বৈশাখ মাসের এই পূর্ণিমা ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’ নামে খ্যাত।
বুদ্ধ পূর্ণিমার সময়:
২৫ মে মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটে বুদ্ধ পূর্ণিমা শুরু হবে। ২৬ মে (বুধবার) সন্ধে ৪টা ৪৩ মিনিটে এটি শেষ হবে।
বুদ্ধ পূর্ণিমার গুরুত্ব:
বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে সূর্যোদয়ের পর স্নান করে বিষ্ণুর পুজো করা হয়। এদিন ধর্মরাজের পুজো করারও রীতি প্রচলিত আছে। সত্যবিনায়ক ব্রত করলে ধর্মরাজ প্রসন্ন হন। ধর্মরাজ যম মৃত্যুর দেবতা। তাই যমকে প্রসন্ন করলে অকাল মৃত্যুর ভয় থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। পূর্ণিমার দিনে তিল ও চিনির দান শুভ মনে করা হয়। প্রচলিত আছে যে, এদিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। গৌতম বুদ্ধকে বিষ্ণুর নবম অবতার মনে করা হয়। এদিন দান করলে সুফল লাভ করা যায়।