Image default
ইসলাম

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

আজ বুধবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। এদিন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাত দিবস। জন্ম-ওফাতের স্মৃতিময় দিন আজ ১২ রবিউল আউয়াল। এক হাজার ৪৫১ বছর আগের এই দিনে সৌদি আরবের মক্কা নগরে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্ম নেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।

বাংলাদেশে দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের পরিবেশে দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

বিশ্বের প্রতিটি মুসলমান এই দিনকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন। এর আগে করোনা পরিস্থিতির কারণে সেভাবে পালন করা হয়নি। কিন্তু এবার করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে তাই সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন আলোকসজ্জ্বায় বর্ণিল করা হয়েছে। বিভিন্ন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দল জশনে জুলুস বের করবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে তারা বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের প্রিয়নবি হজরত মুহাম্মদকে (সা.) এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন শান্তি, মুক্তি, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের জন্য ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সারা জাহানের রহমত হিসেবে। নবি করিমকে (সা.) বিশ্ববাসীর রহমত হিসেবে আখ্যায়িত করে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমতরূপে পাঠিয়েছি’ (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)। মুহাম্মদ (সা.) এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছিলেন তিনি। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন ও সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। তিনি বিশ্ব-ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন ও মানবকল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন।

মহানবির জন্মের সময় ও এর আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা আল্লাহকে ভুলে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াত। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল ও মূর্তিপূজা করতো। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ রসুলুল্লাহকে (সা.) পাঠান এই পৃথিবীতে।

Related posts

অকারণে রোজা ভাঙ্গার কঠিন শাস্তি

News Desk

ইসলাম ও ঈমানের মধ্যে সম্পর্ক

News Desk

তারাবিহ নামাজ : নিয়ত, দোয়া ও মুনাজাত

News Desk

Leave a Comment