আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের বিশ্বাস হলো, প্রত্যেক জীবের মৃত্যু হবে এবং পৃথিবীতে চিরন্তন সত্তা হিসেবে কেবল মহান আল্লাহই অবশিষ্ট থাকবেন। সুতরাং ফেরেশতারাও মৃত্যুবরণ করবে এবং মহান আল্লাহ তাদের মৃত্যু দানে সক্ষম। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ভূ-পৃষ্ঠে যা কিছু আছে সবই নশ্বর। অবিনশ্বর কেবল তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময় ও মহানুভব।
আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, ‘উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ এই সংবাদ দিয়েছেন যে পৃথিবীর সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে এবং মৃত্যুবরণ করবে। অনুরূপ আসমানের সব কিছু ধ্বংস ও মৃত্যুর মুখোমুখি হবে। তবে আল্লাহ যার ব্যাপারে ভিন্ন ইচ্ছা পোষণ করেন। আসমান ও জমিনে আল্লাহর পবিত্র সত্তা ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। ’ (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৭/৪৯৪)
আল্লামা হালিমি বলেন, ফেরেশতাদের ব্যাপারে এ বিষয়গুলোও ঈমানের অন্তর্ভুক্ত যে তারা মানুষ ও জিন জাতির মতো আল্লাহর বান্দা ও সৃষ্টি। তারা আদেশপ্রাপ্ত ও মুকাল্লাফ। আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতার বাইরে তাদের কোনো শক্তি নেই। মৃত্যু তাদের জন্যও প্রযোজ্য। (আল-মিনহাজ ফি শুআবিল ঈমান : ১/৩০২)
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়, সব সৃষ্টি—এমনকি ফেরেশতারাও কি মৃত্যুবরণ করবে? তিনি বলেন, বেশির ভাগ মানুষ (আলেম) একমত যে সব সৃষ্টি—এমনকি ফেরেশতারাও মৃত্যুববরণ করবে। মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টান সবাই একমত যে ফেরেশতাদের মৃত্যু সম্ভব এবং আল্লাহ তাতে সক্ষম। (মাজমুউল ফাতাওয়া : ৪/২৫৯)
আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) বলেন, আমাকে প্রশ্ন করা হয়, কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার সময় সিঙ্গার ফুৎকারে কি ফেরেশতাদের মৃত্যু হবে এবং পুনরুত্থানের ফুৎকারে কি তারা জীবিত হবে? উত্তর : হ্যাঁ। (আল-হাবায়িক ফি আখবারিল মালায়িক, পৃষ্ঠা ২৭২)