অপার বিস্ময়ের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম
খেলা

অপার বিস্ময়ের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম

কাতারের মাটিতে বিশ্ব ফুটবলের মহারণ বসতে বাকি আর মাত্র ১১ দিন। এর মধ্যেই সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে কাতারের কর্তৃপক্ষ আর বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।

‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’র মহারণে দলগুলো কাতারজুড়ে যে ৮টি স্টেডিয়ামে বিশ্ব শ্রেষ্টত্বের লড়াইয়ে নামবে প্রস্তুত হয়ে গেছে সেগুলোও। ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো তৈরিতেই খরচ হয়েছে সিংহভাগ অর্থ।



তৈরি কাতার, তৈরি স্টেডিয়াম, ৩২টি দলও নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার শেষ সময়ের কাজে ব্যস্ত। অপেক্ষা শুধু বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে বল পায়ে কিক-অফের। তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো সম্পর্কে।

কাতার বিশ্বকাপের ৮ স্টেডিয়াম নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ অষ্টম ও শেষ পর্বে থাকছে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম নিয়ে বিস্তারিত।

লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম, লুসাইল (৮০ হাজার) :

মধ্য দোহা থেকে প্রায় ২০ কি.মি. উত্তরে দুই লাখ জনসংখ্যার লুসাইল শহরে অবস্থিত কাতার বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি চোখ থাকবে এই স্টেডিয়ামের দিকেই। 


চ্যাম্পিয়নরা শিরোপা হাতে তুলবে এই লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামেই। ছবি: সংগৃহীত

৮০ হাজার দর্শকধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনাল ও একটি সেমিফাইনালসহ মোট ১০টি ন্ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও পর্তুগালের মতো বিশ্বকাপের হেভিওয়েট দলগুলোও নিজেদের ম্যাচে মাঠে নামবে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে। 


৮০ হাজার আসনসংখ্যার এই স্টেডিয়ামেই বসবে বিশ্বকাপের শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচ। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে নির্মিত এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করা হয় ২০২১ সালের ১১ আগস্ট। কাতার স্টারস লিগের আল রাইয়ান এবং আল আরাবির মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করে কাতারের সবচেয়ে বড় এই স্টেডিয়াম। 


লুসাইল স্টেডিয়ামের সোনালী রঙেই রঙিন হবে বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ শেষে স্টেডিয়ামটিকে বইভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের স্থান হিসেবে পরিবর্তন করা হবে। কাতারের খেলাধুলা, স্কুল, ক্যাফে আর স্বাস্থ্যসেবার একটি কমিউনিটি স্পেসে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য বিশ্বকাপের পরই এর ৮০ হাজার আসনের বেশিরভাগই সরিয়ে অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে। 


লুসাইলের রাতের আলোয় মুগ্ধ হতে হবে যে কোনো দর্শনার্থীরই। ছবি: সংগৃহীত

লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামের নকশা তৈরি করা হয়েছে সমগ্র আরব এবং ইসলামিক বিশ্ব জুড়ে পাওয়া হাতে তৈরি বাটির আদলে। আর স্টেডিয়ামের আলোক ছটা দেওয়া আয়নাগুলো তৈরি হয়েছে ফানার নামক আরব্য লণ্ঠনের আকৃতিতে। 


অপেক্ষার শেষ আর কদিন পরেই, আইকনিক এই লুসাইলেই বিশ্বসেরার যুদ্ধে নামবে ফুটবলের জায়ান্টরা। ছবি: সংগৃহীত

স্টেডিয়ামটির সোনালী রঙের বাহ্যিক অংশটিও পুরনো ধাতব হস্তশিল্পের প্রতিলিপির সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে ধারণ করে তৈরি করা। চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাকজমকভাবে নির্মিত স্টেডিয়ামটির সূক্ষ্ম নকশা এক অপার বিস্ময় আর সৌন্দর্য্যের আধার।

Source link

Related posts

টেক্সানের ডিমেকো রায়ানস পরামর্শ দিয়েছেন যে ট্রেভর লরেন্স নৃশংস আঘাতের জন্য কিছু দোষ বহন করে, ওভাররেটেড জাগস খেলোয়াড়রা বলেছেন

News Desk

লেব্রন জেমস দাবি করেছেন যে লেকার্স কোচ ডারভিন হ্যামের উপর তার ভেটো ক্ষমতা রয়েছে

News Desk

সাকিবকে বসিয়ে ফার্গুসনকে খেলাবে কলকাতা: ডেল স্টেইন

News Desk

Leave a Comment