Image default
খেলা

এক ক্যামেরুনিয়ানের গোলে পরাজয় দেখলো ক্যামেরুন

বিশ্বকাপ তো বটেই, আগে কখনোই সুইজার‌ল্যান্ডের মুখোমুখি হয়নি ক্যামেরুন। তাই কাতার বিশ্বকাপে ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচটার প্রথমার্ধ ছিল জমজমাট। বিরতির পর দেখা গেলো এক ক্যামেরুনিয়ানের গোলেই কপাল পুড়েছে ক্যামেরুনের। সুইজারল্যান্ড ১-০ গোলে জিতে টুর্নামেন্টে শুভ সূচনা করেছে।

৪৮ মিনিটে স্ট্রাইকার ব্রিল এম্বোলো যখন গোলটা করলেন, তখন আর উদযাপনের পথে গেলেন না। হয়তো জন্মভূমির প্রতি টান অনুভব করেছেন, যে জন্য শরীরী ভাষায় ফুটে ওঠে অন্যরকম এক আবহ। দুই হাত তুলে ধরে জন্মভূমির প্রতি ক্ষমা চাওয়ার ইঙ্গিত দিলেন। ২৫ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের জন্ম ক্যামেরুনে হলেও বেড়ে উঠেছেন সুইজারল্যান্ডে। দলের জয়টাও এসেছে তার করা গোলে জন্মভূমির বিপক্ষে।

পাঁচবারের আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন ক্যামেরুন এই গ্রুপটার সর্বনিম্ন র‌্যাঙ্কধারী দল (৪৩)। সুইজারল্যান্ডের অবস্থান ১৫তম। তারপরও তাদের কোনও ছাড় দেয়নি ক্যামেরুন। শুরুর কয়েক মিনিট মনে হচ্ছিল সুইজারল্যান্ডেই বুঝি চাপ তৈরি করছে। যদিও আক্রমণে সেভাবে ত্রাস ছড়াতে পারছিল না। ক্যামেরুন প্রথমার্ধে লো ব্লক তৈরি করে বেশিরভাগ ক্রস বিপদমুক্ত করেছে। শাকিরিকে দিয়ে উইং ধরে আক্রমণের চেষ্টা করেও প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। বিপরীতে প্রতি-আক্রমণে বেশি ভয়ংকর ছিল ক্যামেরুন। একাম্বি ও এমবিউমো ওপরে থাকায় সহজেই আক্রমণে যেতে পেরেছে। তাতে প্রথম পরিষ্কার সুযোগটি আসে তাদের। ১০ মিনিটে বাঁপ্রান্তের দুরূহ কোণ থেকে এমবিউমো একাই শট নিয়েছিলেন। সেটি ঠেকিয়ে দেন সুইজারল্যান্ড গোলরক্ষক। ফিরতি বলে আবার পোস্টের ওপর দিয়ে বল মারেন টোকো একাম্বি।

২৯ মিনিটে দ্বিতীয় সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি ক্যামেরুন। ডান প্রান্ত দিয়ে হোংলা লক্ষ্যে বল মারলে কোনও রকমে সেটি রক্ষা করেন সুইজারল্যান্ড গোলকিপার সোমার। যদিও বল তখন পুরোপুরি বিপদমুক্ত ছিল না। তখন গোলমুখে ক্যামেরুনের কেউ থাকলে ফিরতি শটে জাল কাঁপানোর সুযোগ ছিল। ৪০ মিনিটেও সুযোগ ছিল তাদের। কাস্তেল্লেত্তো স্কোরিং শট নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটির গতিপথ বদলে দেন সুইজারল্যান্ডের এক ডিফেন্ডার।

বিরতির পরই খেলায় গতি বাড়ে সুইজারল্যান্ডের। তাতে ৪৮ মিনিটে দুর্দান্ত টিম এফোর্টে গোলের দেখা পায় সুইজারল্যান্ড। গোল করেন ব্রিল এম্বেলো। বক্সের মধ্যে শাকিরির কাট করা বল চলে যায় আনমার্কড এম্বোলোর কাছে। তরুণ এই স্ট্রাইকার আর সুযোগ মিস করেননি।

৫৮ মিনিটে ক্যামেরুন সুযোগ পেয়েছিল সমতা ফেরানোর। কিন্তু চুপো মোটিং দুরূহ কোণ দিয়ে চেষ্টা করেও সফলতা পাননি। ৬৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেতে যাচ্ছিল সুইজারল্যান্ড। দারুণ দক্ষতায় তাদের হতাশ করেন ক্যামরুন গোলকিপার ওনানা। তার আগে ক্যামেরুনেরও সুযোগ ছিল। আনগুইসার হেড চলে যায় সমারের কাছে। তারপর আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ চললেও স্কোর লাইনে কোনও আর পরিবর্তন হয়নি।

Related posts

Timberwolves গেম 7 জিতে একটি অত্যাশ্চর্য লিড দিয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন নগেটসকে নির্মূল করেছে

News Desk

অস্টিন রিভসের আত্মবিশ্বাস কখনই ম্লান হয়নি যখন তিনি বাক্সের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে দুটি গোল করেছিলেন

News Desk

'পুচকে' জিম্বাবুয়ের কাছে 'মার' খেলো পাকিস্তান

News Desk

Leave a Comment