বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটিং কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অ্যাশওয়েল প্রিন্স। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ কেন জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি?
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার ইনডিপেন্ডেন্ট অনলাইনের (আইওএল) এর বরাতে জানা যায়, পরিবারকে আরও সময় দিতে পদত্যাগ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৬৬ টেস্ট, ৫২ ওয়ানডে ও ১টি টি-টোয়েন্টি খেলা সাবেক এই ক্রিকেটার।
বেশ কিছুদিন ধরেই ক্রিকেটপাড়ায় কানাঘুষা চলছিল, আফগানিস্তান সিরিজের আগেই পদচ্যুত করা হতে পারে প্রিন্সকে। অজি কোচ জেমি সিডন্স জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে যোগ দেয়ায় সেই গুঞ্জন আরও প্রবল হয়।
গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব পান অ্যাশওয়েল প্রিন্স। আগামী অক্টোবর-নভেম্বর পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তি ছিল তার। কিন্তু হঠাৎ করেই চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে সময়টা ভালো কাটেনি ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্সের। বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে পাকিস্তান সিরিজে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগছে টাইগাররা। এমতাবস্থায় আফগানিস্তান সিরিজের ঠিক আগমুহূর্তে পদত্যাগ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ।
তবে একটি সূত্রে জানা যায়, জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের বদলে প্রিন্সকে বাংলাদেশ হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দলের ব্যাটিং কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে সম্প্রতি একটি ই-মেইল করা হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে। কিন্তু এমন পদাবনমন মেনে নিতে পারেননি প্রিন্স। বিসিবির ই-মেইল পেয়ে তাই অপমানিত বোধ করেছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ। তাঁর সরে যাওয়াটা সে কারণেই বলে জানা গেছে।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রিন্সও গণমাধ্যমকে জানান, হাই পারফরম্যান্স দলের দায়িত্ব নিতে চান না বলেই তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত।
বিসিবি সূত্রে জানা যায়, চুক্তিতে না থাকলেও সম্প্রতি বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রিন্সকে জানানো হয়, জাতীয় দল ছেড়ে তাঁকে অন্য কোনো দলের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। বিসিবির এমন প্রস্তাব পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কিছুই বলেননি প্রিন্স।
আজ প্রিন্স নিজে থেকে সরে যাওয়ার পর এখন নিশ্চিত হয়ে গেছে, সিডন্সই হচ্ছেন বাংলাদেশ দলের নতুন ব্যাটিং কোচ।
ইত্তেফাক/এনএ/এএইচপি