Image default
খেলা

মায়ামি ওপেনের ফাইনালে ইটালির কিশোর

চমকে দিলেন ইটালীয় কিশোর ইয়ানিক সিনার। সবে টেনিস জীবন শুরু করেই খেলবেন মায়ামি ওপেনের ফাইনালে! সিনারের বয়স মাত্র ১৯। জীবন শুরু হয়েছিল স্কিয়িং করে। জুনিয়রে এই খেলাটাতেই সেরা হন। তখন কেউ ভাবেননি টেনিসে এসেও একই রকম বিস্ময় উপহার দিতে পারেন। মায়ামিতে সিনার ২১ নম্বর বাছাই। হার্ডরক স্টেডিয়ামে খেলতে নেমে অঘটন ঘটিয়ে হারিয়ে দিলেন স্পেনের তারকা রবের্তো বাতিস্তা আগুতকে ৫-৭, ৬-৪, ৬-৪ ফলে। এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হলে সিনার নজির গড়বেন। এর আগে এত কম বয়সে মায়ামিতে পুরুষ বিভাগে কেউ চ্যাম্পিয়ন হননি। তবে কিশোর বয়সেই এখানে এক সময় ফাইনালে খেলেছেন নোভাক জোকোভিচ, রাফায়েল নাদাল, আন্দ্রে আগাসি।

সিনার অবশ্য নোভাকদের সঙ্গে তুলনা একেবারেই পছন্দ করছেন না। ফাইনালে উঠে বলেছেন, আমার বয়স ১৯। অত বড়-বড় সব নামের পাশে আমি কিছুই নই। আমাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে। কোনও টুর্নামেন্টে একটা সপ্তাহ ভাল খেলেই কেউ দারুণ খেলোয়াড় হয়ে যায় না। যোগ করেছেন, একটা জায়গায় পৌঁছতে সময় লাগে। মায়ামিতে ফাইনালে উঠে আমি খুব খুশি। তবে তার মানে এই নয় যে, চ্যাম্পিয়ন হবই। শুধু চেষ্টা চালিয়ে যেতে চাই। মায়ামিতে তাঁর খেলার ধরনও টেনিস বিশেষজ্ঞদের নজর কেড়েছে। এখনই অসম্ভব ঠান্ডা মাথা। যে কোনও বলের কাছে অবলীলায় পৌঁছে নিখুঁত রিটার্ন মারেন। সেমিফাইনালে এক সেট পিছিয়ে থেকেও অসাধারণ খেলে ঘুরে দাঁড়ালেন। তার উপর দ্বিতীয় সেটের সপ্তম গেমে চার বার ব্রেকপয়েন্ট বাঁচান। শেষপর্যন্ত ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেন।

ফাইনালে সিনার খেলবেন পোলান্ডের হুবার্ট হুরকাচের সঙ্গে। হুবার্টও ফাইনালে উঠেঠেন সকলকে চমকে দিয়ে। অন্য সেমিফাইনালে তিনি অঘটন ঘটান চতুর্থ বাছাই রুশ আন্দ্রে রুবলেভকে ৬-৩, ৬-৪ হারিয়ে। পোলান্ডের খেলোয়াড় এ বারের টুর্নামেন্টে এই নিয়ে চার জন তারকাকে হারালেন। এর আগে তিনি হারিয়েছেন ষষ্ঠ বাছাই ডেনিস শাপোভালভ, দ্বাদশ বাছাই মিয়োস রায়োনিচ ও দ্বিতীয় বাছাই স্টেফানোস চিচিপাসকে। বিশ্বের প্রথম ছ’জন খেলোয়াড়ের চার জনই এ বার মায়ামিতে খেলছেন না। নাম তুলে নিয়েছেন জোকোভিচ, নাদাল, ডমিনিক থিম ও রজার ফেডেরার। যা সিনার, হুবার্টের মতো নতুনদের সামনে দরজা খুলে দিয়েছে।

 ইয়ানিক সিনার
ছবি: tennishead.net

সিনারের জন্ম উত্তর ইটালির ইনিচেনে। এই জায়গাটিকে বলা হয়, ‘স্কি ভিলেজ’। স্কি করার একেবারে আদর্শ জায়গা। সঙ্গে তুষার-স্থাপত্যের উৎসবের জন্যও বিখ্যাত। তাঁর বাবা রাঁধুনির কাজ করেন। মা একই জায়গায় খাবার পরিবেশন করেন। আমার বাবা-মা খুবই সাধারণ কাজ করেন। ওঁরা জানেন, কী ভাবে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। ওঁদের দেখেই আমার লড়াকু মানসিকতা তৈরি হয়েছে। প্রত্যেক দিন নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। কখনও হাল ছাড়ি না, বলেছেন সিনার।

তথ্য সূত্র: আনন্দ বাজার

Related posts

Saquon Barkley explains 'epiphany' that led to joining Giants at start of training camp: 'Followed my heart'

News Desk

সূর্যগ্রহণ ইয়াঙ্কিসকে মার্লিনের সাথে শুরুর সময় পরিবর্তন করতে বাধ্য করে

News Desk

দুর্দান্ত শতক হাঁকালেন তামিম ইকবাল

News Desk

Leave a Comment